পিএনএস ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল তাদের রাজকীয় উপাধি হারিয়েছেন। এখন থেকে তারা আর রাজকীয় উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না।
রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের সরকারি বাসস্থান উইন্ডসর ক্যাসেল সংস্কার করতে যে প্রায় ৩০ লাখ ডলার খরচ হয়েছে, তা শোধ করতে হবে।
গতকাল (১৯ জানুয়ারি) শনিবার বাকিংহাম প্রাসাদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়, খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও বিবিসিসহ অন্যান্য গণমাধ্যম।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে যৌথ বিবৃতিতে হ্যারি ও মেগান জানিয়েছিলেন, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তারা রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অবসর নিতে চান। এরপর রানীর বিশেষ প্রতিনিধি, হ্যারি ও রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্যরা এই চুক্তিতে পৌঁছান।
রাজপ্রাসাদ সূত্র আরো জানিয়েছে, হ্যারি ও মেগান তাদের সন্তান আর্চিকে নিয়ে বেশিরভাগ সময় উত্তর আমেরিকাতে অবস্থান করবেন। অর্থ উপার্জানের জন্য তারা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারবেন। তবে রানীর সম্মানহানি হয় এমন কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত হবেন না। চলতি বসন্তের শেষেই এই আদেশ কার্যকর হবে।
তবে কেন প্রিন্স হ্যারি এভাবে হঠাৎ করেই রাজপরিবার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। অনেকে জানতে চাইছেন- কেন প্রিন্স হ্যারি অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বী হওয়ার কথা বলছেন? অনেকে একে গৃহদাহ বলে মনে করছেন। তবে এ ঘটনা যে ব্রিটিশ রাজপরিবারের জন্য বড় ধাক্কা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পিএনএস/হাফিজ
রাজকীয় উপাধি হারালেন হ্যারি-মেগান
20-01-2020 02:42AM