করোনা নিয়ে যেসব ইতিবাচক তথ্য গুজব নয়

পিএনএস ডেস্ক: কভিড-১৯ করোনাভাইরাস নিয়ে গুজবের শেষ নেই। এত সব গুজবের ভিড়ে কোনটা গুজব আর কোনটা সত্যি তা বিশ্বাস করাই মুশকিল। করোনা নিয়ে কিছু ইতিবাচক তথ্য যা গুজব নয়:

চীনে অ্যাপলের সব বিক্রয়কেন্দ্র চালু: করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনসহ বিভিন্ন দেশে নিজেদের সব বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করে দেয় অ্যাপল। চীনে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে এলে গণমাধ্যমে খবর বেরোয় যে প্রতিষ্ঠানটি চীনের সব বিক্রয়কেন্দ্র আবার খুলে দিয়েছে। চীনে অ্যাপলের ৪২ বিক্রয়কেন্দ্রের সবগুলোই খুলে দেয়া হয়েছে এবং সেখানে কেনাকাটাও শুরু হয়েছে।

ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু: যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। জনসাধারণের কাছে ভ্যাকসিনটি পৌঁছে দিতে অন্তত ১৮ মাস সময় লাগবে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে।

অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে: নেদারল্যান্ডসের ইরাসমাস মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা অ্যান্টিবডির সন্ধান পেয়েছেন, যা কি না করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করবে। যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানিও দ্রুত অ্যান্টিবডি টেস্ট চালু করেছে।

১০৩ বছর বয়সীও সেরে উঠেছেন: চীনের উহানে ১০৩ বছরের এক নারী করোনাযুদ্ধ জয় করে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। তিনি উহানের একটি হাসপাতালে ছয় দিন ভর্তি ছিলেন। শুধু ওই নারীই নয়, ১০০ বছরের বেশি বয়সী বেশ কয়েকজন ব্যক্তি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশে ৮০ বছর বয়সী এক নারীও করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

অল্প সময়েই করোনা পরীক্ষা: যুক্তরাজ্যের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকে করোনা পরীক্ষায় বিশেষ এক ধরনের পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যাতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফল জানা যাবে। প্রচলিত পদ্ধতিতে কয়েক দিনও লেগে যায়। ভারতেও একটি কিট তৈরি হয়েছে যা দিয়ে আড়াই ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা সম্ভব।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণের হার কমছে: দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। সেখানে এখন করোনায় আক্রান্তের চেয়েও এখন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠার ব্যক্তির সংখ্যা বেশি।

ইসরায়েল ভ্যাকসিন বানিয়েছে: ইসরায়েলের ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়টিও বিশ্বের অনেক গণমাধ্যম প্রচার করেছে। ভ্যাকসিনটি এখনো সাধারণ মানুষের ওপর প্রয়োগ করার জন্য উপযোগী নয়। আরও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি রয়েছে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৫৮ এবং মারা গেছে ২০ জন।

পিএনএস/আনোয়ার