যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে, ইরানে বন্ধ করা হলো পারমাণবিক কেন্দ্র!

  17-04-2024 12:07PM




পিএনএস ডেস্ক: ১৩ এপ্রিল ইসরাইলে মিসাইল হামলা চালায় ইরান। সঠিক সময়ে এর উত্তর দেয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তেল আভিভ। মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে গাঢ় হচ্ছে যুদ্ধের কালো মেঘ। এই আশঙ্কায় ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) প্রধান রাফায়েল গ্রসিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- তিনি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলি হামলার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন কি-না। উত্তরে তিনি বলেন, 'আমরা সবসময় এই সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমি আপনাকে যা বলতে পারি তা হলো যে, ইরান সরকার জানিয়েছে আমরা যে সমস্ত পারমাণবিক স্থাপনাগুলো প্রতিদিন পরিদর্শন করছি সেগুলো নিরাপত্তার বিবেচনায় বন্ধ থাকবে। সোমবার আবারও সেটি খোলা হয়। পরিস্থিতির তদারকি চলছে। স্থিতাবস্থা না ফেরা পর্যন্ত তদারকি চলবে'।

ইসরাইলের সেনাপ্রধান জানান, ইরানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কড়া জবাব দেবেন তারা।

এর পাল্টা ইরান জানায়, এবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে এমন অস্ত্রের প্রয়োগ করবে তারা, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ফল বুঝতে পারবে ইসরাইল, তাতেই প্রমাদ গুনছে আন্তর্জাতিক মহল। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে প্রথম হামলা চালায় ইসরায়েল। তাতে সেনা আধিকারিক-সহ বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়। সেই থেকে দুই দেশের মধ্য লাগাতার পারদ চড়ছিল। ইসরাইলের দাবি, ৩০০ ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্বয়ংক্রিয় রকেট ছোড়ে ইরান যার মধ্যে অধিকাংশকেই প্রতিহত করতে পেরেছে তারা। ইসরাইল এর আগেও ওই অঞ্চলে পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। ১৯৮১ সালে ওয়াশিংটনের বিরোধিতা সত্ত্বেও সাদ্দাম হোসেনের ইরাকে ওসিরাক পারমাণবিক চুল্লিতে বোমা হামলা করে ইসরাইল।


২০১৮ সালে সিরিয়ায় একটি চুল্লিতে গোপনীয় বিমান হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছিল তারা। ২০১০ সালে খুন হয়েছিলেন ইরানের দুই পরমাণু বিজ্ঞানী। তেহরান তাদেরকে হত্যা করার অভিযোগ তুলেছিল ইসরাইলের বিরদ্ধে। ওই বছরই স্টাক্সনেট ভাইরাস ব্যবহার করে অত্যাধুনিক একটি সাইবার আক্রমণ হয়েছিল ইরানে। ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এর জন্য দায়ী করা হয়। যার ফলে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের জন্য ব্যবহৃত ইরানী সেন্ট্রিফিউজগুলিতে একের পর এক ভাঙন দেখা দেয়। ইসরাইল অভিযোগ করে যে, ইরান পারমাণবিক বোমা বানাতে চায়, যা তেহরান অস্বীকার করে। সূত্র : এনডিটিভি


পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন