মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

  22-03-2017 05:06PM

পিএনএস ডেস্ক: বাংলাদেশে অবস্থিত মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশন (তেজস্ক্রিয়তা) এর মাত্রা উচ্চ পর্যায়ের, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এমন এক প্রতিবেদনের কথা হাইকোর্টকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

এদিকে স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে নির্ণয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছে রিটকারী পক্ষ।

তবে বুধবার (২২ মার্চ) সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো.সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে বিটিআরসির পদক্ষেপ জানতে চেয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৮ মার্চ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন।

সেলফোন টাওয়ারের রেডিয়েশন নিঃসরণ নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আজ আদালতে বলেছে- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে দেখা গেছে সেলফোনের টাওয়ারে রেডিয়েশনের মাত্র অনেক বেশি অর্থাৎ উচ্চ মাত্রার। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তারা এটা বিটিআরসিকে জানিয়েছে, যেন রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে ব্যবস্থা নেয়। এরপর আদালত প্রতিবেদনটি হলফনামা আকারে দাখিল করতে বলেছেন এবং বিটিআরসির পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আদালত ২৮ মার্চ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন।’

হাইকোর্টের আগের নির্দেশে রেডিয়েশনের মাত্রা এবং এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব খতিয়ে দেখতে বলে। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কয়েকটি মোবাইল ফোন টাওয়ার পরিদর্শন করে রেডিয়েশন বিষয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেন।

এছাড়াও সাত দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিতে বিজ্ঞানী, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অধ্যাপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং আণবিক শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। এই কমিটিকে মোবাইল টাওয়ার থেকে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত প্রভাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারগুলো থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

এরপর স্বাস্থ্য কমিটি করে নিরীক্ষা করে স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বিটিআরসিকে বলেছেন রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে। এ প্রতিবেদনটি মঙ্গলবারের মধ্যে হলফনামা আকারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিটিআরসি কী পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটিও আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন