পিএনএস ডেস্ক: কর দিতে পাঁচটি ঠেলায় তিন লাখ কয়েন ভর্তি করে হাজির হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী ভার্জিনিয়ার সেডার বাফ শহরের বাসিন্দা নিক স্ট্যাফোর্ড। কয়েনগুলোর মোট ওজন দাঁড়ায় ৭২৬ কেজি। আর সেগুলো গুণে নিতে সাত ঘণ্টা সময় লাগে কর্তৃপক্ষের। জানা গেছে, সরকারি বিভাগগুলোর ওপর নাখোশ হয়েই এমন অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানান স্ট্যাফোর্ড।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভার্জিনিয়ার সেডার বাফ শহরের বাসিন্দা নিক স্ট্যাফোর্ডের সঙ্গে মোটরযান নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ডিএমভি) ঝামেলা চলছিল ছয় মাস ধরে। সংস্থার পীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন নিক। বুধবার চাকা লাগানো ঠেলায় (হুইলব্যারো) কয়েন নিয়ে ওই বিভাগে হাজির জন স্ট্যাফোর্ড। ডিএমভি'র স্বয়ংক্রিয় গণনাযন্ত্র এত কয়েনের ভার সামলাতে পারেনি। পরে সংস্থার কর্মীরা সাত ঘণ্টা শ্রম দিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে কয়েন গোণা শেষ করেন।
স্ট্যাফোর্ডের ওয়েবসাইট ক্রাফটভিনাইল ডটকমে (http://www.craftvinyl.com/page165) জানানো হয়েছে, ডিএমভির সঙ্গে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ‘ঝামেলা’ শুরু হয় তার। কোম্পানির তিনটি গাড়ির নিবন্ধন করা এবং কোথায় বিক্রয় কর দিতে হবে তা জানতে সংশ্লিষ্ট কারও ফোন নম্বর চেয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু ডিএমভি তাকে এটা দিতে অনেক ঘুরিয়েছে।
ব্রিস্টল হেরাল্ড কুরিয়ারের খবরে বলা হয়, ডিএমভির সহযোগিতা না পেয়ে স্ট্যাফোর্ড তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। তখন তাকে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হলেও সেখানে ফোন করার পর স্ট্যাফোর্ডকে বলা হয়, এই নম্বর সাধারণ মানুষের অনুসন্ধানের উত্তর দেওয়ার জন্য নয়। পরে ডিএমভি অনুসন্ধানের বিষয়ে তথ্য দিলেও স্ট্যাফোর্ড অন্যান্য শহরের আরও নয়টি কর অফিসের ফোন নম্বর চান। এবার তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে আদালতে ডিএমভি ও এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জরিমানা করতে তিনটি আলাদা আবেদন করেন নিক।
কিন্তু, আবেদনগুলো খারিজ করে দেয় আদালত। তবে রাজ্যের আইন কর্মকর্তারা স্ট্যাফোর্ডের চাহিদা অনুযায়ী কর অফিসের নম্বরগুলো তাকে দেন।
স্ট্যাফোর্ড বিবিসিকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৬৫ সালের কয়েনেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী সব ধরনের ঋণ, বকেয়া, কর ও শুল্কের ক্ষেত্রে কয়েন ব্যবহার বৈধ। সুতরাং কর পরিশোধে তার দেওয়া কয়েন নিতে ডিএমভি বাধ্য ছিল।
পিএনএস/আলআমীন
কর দিতে ৭২৬ কেজি কয়েন নিয়ে হাজির ব্যবসায়ী
13-01-2017 04:27PM