তরুণীর চোখে এক্স-রে মেশিন!

  18-01-2017 12:31PM

পিএনএস ডেস্ক: আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক্স-রে মেশিনের ব্যবহার সাধারণ ব্যাপার। বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে এক্স রশ্মি ব্যবহার করে রোগীর শরীরের অভ্যন্তরের ছবি তোলা হয় এক্স-রে মেশিনে। কিন্তু রাশিয়ায় এমন এক তরুণী রয়েছেন, যার চোখে রয়েছে এক্স-রে মেশিন। হ্যাঁ, ৩০ বছর বয়সি নাতাশা (প্রকৃত নাম নাতালিয়া) ডেমকিনার দাবি, তিনি চাইলেই কোনও মানুষের শরীরের অভ্যন্তরের অবস্থা দেখে নিতে পারেন স্রেফ নিজের দৃষ্টিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে।

রাশিয়ার মস্কোর স্টেট স্টেমাটোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে মেডিক্যালে অধ্যয়নরত নাতাশা জানান, তার বয়স যখন ১০ বছর, তখনই প্রথম আবিষ্কার করেন নিজের এই অদ্ভুত ক্ষমতা। একদিন নাতাশার মা তাতিয়ানা দাঁড়িয়ে রয়েছেন নাতাশার সামনে, হঠাৎই ছোট্ট নাতাশার কেমন একটা ঘোর এসে যায়। সে খেয়াল করে, মায়ের শরীরের চামড়া ভেদ করে শরীরের অভ্যন্তরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। গড়গড় করে সমস্ত মায়ের ইন্টার্নাল অর্গ্যানের বিবরণ দিয়ে যেতে থাকে ১০ বছরের মেয়েটি।

তাতিয়ানার মুখ থেকে পাড়া-প্রতিবেশীরা শুনেছিলেন নাতাশার এই অলৌকিক ক্ষমতার কথা। তারা বিষয়টি পরখ করার জন্য ভিড় জমাতে থাকেন নাতাশাদের বাড়িতে। ক্রমশ নাতাশার খবর ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ২০০৩ সালে রাশিয়ার সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন মারফত গোটা দেশ জেনে যায় ‘এক্স-রে গার্ল’ নাতাশার কথা।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ারও নজর পড়ে নাতাশার দিকে। তিনি পাড়ি দেন ব্রিটেন। বিভিন্ন টেলিভিশন শো-এ নিয়ে যাওয়া হয় নাতাশাকে। সকলেই যাচাই করে নিতে চায়, নিজের অলৌকিক ক্ষমতা সম্পর্কে নাতাশার দাবি কতটা সত্যি। ক্যামেরার সামনে বার বার পরীক্ষা দিতে হয় তাকে। প্রায় সমস্ত পরীক্ষাই নির্বিঘ্নে উতরে যান নাতাশা। একটি টেলি-শো-এ গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত এক মহিলার দিকে তাকিয়েই নাতাশা বলে দেন, মহিলার শরীরের কোন কোন হাড় ভেঙেছে এবং শরীরের ভিতরে কোথায় কোথায় বিঁধে রয়েছে ধাতব পিন।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন