‘শান্তিতে নোবেল জয়ীদের মধ্যে লজ্জাজনক নাম অং সান সুচি’

  30-11-2016 07:40AM

পিএনএস ডেস্ক : মিয়ানমারে যা চলছে তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। ইতিহাসে যেসব ভয়াবহতম গণহত্যার ঘটনা রয়েছে পৃথিবীতে সেসবকেও হার মানাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক চালানো হত্যাযজ্ঞ। সেখানে কি হচ্ছে না হত্যা থেকে ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, মানুষকে পুড়িয়ে মাটি চাপা দেওয়ার মতো ভয়াবহ ও নিষ্ঠুরতম সংবাদও আসছে গণমাধ্যমে। এই নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা মানবতার প্রতি চরম লঙ্ঘন, নিষ্ঠুর আচরণ ছাড়া কিছুই নয়। গণমাধ্যমকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
তিনি বলেন, মানুষের যেকোনো অধিকার খর্ব হওয়ার ঘটনাকে কোনোভাবেই আমরা ছোট বা তুচ্ছ করে দেখি না। মানবাধিকারের বিষয়ে যেকোনো প্রশ্নই গুরুতর ব্যাপার। তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গেই দেখি। কোনো মানুষের জীবন যদি কোনোভাবে শঙ্কার মধ্যে পড়ে, কেউ যদি নির্যাতিত হন, কারও স্বাধীনতা খর্ব হয় সেটা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হোক, বাঁচার স্বাধীনতা হোক, কথা বলবার স্বাধীনতা হোক তা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেই আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, আজ যখন দিনের আলোতে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে গৃহহীন, হত্যা, নারীদের ধর্ষণ, শিশুদের হত্যা, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে তাদের দেশছাড়া করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী, সেই জায়গাটাতে বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কথা বলুন, সামগ্রিক বিশ্বরাজনীতির যে অবস্থা তা খুবই হতাশাজনক। মিয়ানমারে এতকিছু ঘটে যাচ্ছে, অথচ মানবাধিকার বা জাতিসংঘের যে ভূমিকা পালন করার কথা, তাদের কাছ থেকে যে দায়িত্বশীল ভূমিকা মানুষ প্রত্যাশা করেছিল তা পাচ্ছে না। একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে আমি খুবই হতাশ। এমনটি কোনোভাবেই মানা যায় না।
আমরা সিরিয়ার বিষয়ে কথা বলছি, ইরাকের-আফগান বিষয়েও কথা বলছি, লিবিয়ার বিষয়টি নিয়ে বিশ্বনেতাদের কথা বলতে দেখি, জাতিসংঘও কথা বলছে। মিডিয়াগুলো ওই বিষয়গুলো নিয়ে সরব। কিন্তু মিয়ানমার প্রশ্নে সবাই যেন কেমন নীরব। মিয়ানমারের ঘটনাগুলো ঠিকমতো তুলে ধরা হয় না। একটা গা ছাড়া গা ছাড়া ভাব।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বড় বড় যেসব মানবাধিকার সংগঠন রয়েছে, এসব সোচ্চার সংগঠন বা ব্যক্তিদের দ্বৈতনীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা খুবই হতাশাজনক। কেননা মানবাধিকারের প্রশ্নে যারা কাজ করেন, তারা যদি দ্বৈতনীতি গ্রহণ করে তা সারাবিশ্বের জন্যই একটা হুমকি। মিয়ানমারের প্রশ্নে সবাইকে আরও সোচ্চার হওয়ার দরকার ছিল। বাংলাদেশকেও সবকিছুর আগে, যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে মানবাধিকারের প্রশ্নটি নিয়ে ভাবা উচিত। মিয়ানমারের মানুষের মধ্যে যে হাহাকার, আর্তনাদ তা নিয়েও ভাবা উচিত বাংলাদেশ সরকারের। রোহিঙ্গা ইস্যু শুরুর দিকে সরকারর কিছুটা নীরব থাকলেও ইতোমধ্যে তারা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে শক্ত প্রতিবাদ জানিয়েছে। এটাই যথেষ্ট নয়, একটা প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে। আমাদের কার্যকর আরও অনেক কিছু করার রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে গণজাগরণ মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে নিপীড়ন-নির্যাতন, অন্যায্যতার শিকার হয়ে। এমন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটা রাষ্ট্রের আচরণই হবে অন্য যে কারও চেয়ে ভিন্ন। এই রাষ্ট্রের ভিতর, আশেপাশের প্রতিবেশী কোথাও কোনো অন্যায়-অবিচার-নিষ্ঠুরতা হলে সবার আগে সোচ্চার হওয়ার কথা। বাংলাদেশের কাছে সে ভূমিকাটাই সবাই প্রত্যাশা করে। সেই জায়গা থেকে বলব, অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি দায়িত্ব বাংলাদেশের, কারণ মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। সেখানে নিপীড়ন-নির্যাতন, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হচ্ছে প্রতিনিয়তই। ওখানের ওই অনাচারের নেতিবাচক বা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশেরই উপর। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশকে আরও উদ্যোগী, কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল বার্মার গণতহত্যা বন্ধে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্ত খুলে দেওয়া নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। দাবি জানাচ্ছেন। এ বিষয়ে আমারও প্রশ্ন রয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন শিকার হয়ে আক্রান্ত মানুষ আসছে বাংলাদেশের দিকে, অসহায় এসব মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া মানবাধিকার পরিপন্থি। সরকার থেকে বাংলাদেশের জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি তোলা হচ্ছে। অবশ্যই সরকারের এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে প্রায় সব বয়সের মানুষই আসছে বাংলাদেশে। বিশেষ করে নারী-শিশু-বৃদ্ধদের বিষয়ে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। মানবিক হতে হচ্ছে। এসব মানুষের ব্যাপারে সরকার এমন একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, যা করলে আমাদের ভূখ- নিরাপদ থাকবে, স্থিতিশীল থাকবে। অর্থাৎ সীমান্তের যে এলাকায় শরণার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে তারা যেন ওই নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে না যায়, বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সরকার যে যুক্তি সামনে নিয়ে আসছে বা অনেকেই যে কথাটা বলছেন, বলার চেষ্টা করছেনÑ রোহিঙ্গারা এখানে এসে নৈরাজ্য সৃষ্টি বা নানাভাবে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছেÑ একটা নারী বা পাঁচ বছরের শিশু যখন আপনার কাছে ভয়াবহ কোনো পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাঁচতে আপনার সহযোগিতা কামনা করবে বা আশ্রয়প্রার্থী হবে, যখন তার বাঁচা-মরা আপনার সিদ্ধান্তের উপর অনেকটা নির্ভর করবে, ফিরিয়ে দিলে তার মৃত্যু নিশ্চিত, তখন আপনি কি করবেন? কঠোর হবেন, নাকি তার মানবাধিকার প্রশ্নটি সামনে এনে তাকে বাঁচতে সহযোগিতা করবেন? তাকে গ্রহণ করার একটা সুযোগ আপনার কাছে আছে, সেই জায়গায় আপনি কি সিদ্ধান্ত নিবেন? আমি মনে করি, অবশ্যই আমার সিদ্ধান্ত উচিত, তাকে বা তাদের বাঁচানো। সরকার এ জায়গাটিতে ভাবা উচিত।
সীমান্ত খুলে দেওয়ার প্রশ্নে দ্বিমত রয়েছে জানিয়ে ইমরান এইচ সরকার বলেন, এই দ্বিমত রোহিঙ্গাদের বিপক্ষে নয়। একজন স্বাধীনতাকামী মানুষ হিসেবে আমি মনে করি, এখানে বার্মার মানুষ আরাকান রাজ্য নিয়ে যে লড়াই করছে, সে লড়াইয়ে সরকার বা রাজ্যের স্বাধীনতাকামী এসব জনগণের প্রতি সমর্থন থাকা উচিত। যাতে তারা তাদের অধিকার আদায় করতে পারে। একটা মানুষকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়া মানে কোনোভাবেই তার উপকার করা নয়। এই মৌলিক বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এখানে আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, একটা অংশ হয়তো না বুঝেই বলছেন, সীমান্ত খুলে দিতে। আবার অনেকে বুঝেই বলছেন, সীমান্ত খুলে দিতে। কারা বুঝে বলছেন, সেটি আমি একটু পরিষ্কার করি। প্রথমত, মিয়ানমার সরকার তাদের উপর অত্যাচার-নিপীড়ন করছে বিতাড়িত করে আরাকান রাজ্য দখল করতে। সেখানকার মুসলমান সম্প্রদায় বা রোহিঙ্গা জাতিসত্তাকে একদম নির্মূল করে তাদের শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। কারণ সেখানে অন্য যেসব জাতিসত্তা রয়েছে তারা যেন বসবাস করতে না পারে। এই গণহত্যার জন্য যারা দায়ী সেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে কারা আধুনিকায়ন করেছে, কাদের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করছে এটা যদি দেখেন তাহলে দেখবেনÑ তাদের পেছনের সবচেয়ে বড় শক্তি চীন। চীন ও মিয়ানমার চাচ্ছেÑ রোহিঙ্গাদের আরাকান রাজ্য থেকে বিতাড়িত করতে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা মানবাধিকারের প্রশ্ন তুলে কেউ কেউ খুব সুচতুরভাবে, বুদ্ধিদীপ্তভাবে মিয়ানমার ও চীনের যে এজেন্ডা তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। একদিকে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিপীড়ন করবে, অন্যদিকে এখানে তাদের পক্ষের শক্তিগুলো বলবে, সীমান্ত খুলে দিন। সীমান্ত খুলে দিলে সব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকবে, অপরদিকে ওরা ওখানকার সীমান্ত সিলগালা করে দিল। বাংলাদেশ থেকে একটা রোহিঙ্গা ফেরত নেওয়ার ইতিহাসও নেই তাদের। যারা অতীতে এসেছে এখনো একটি রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। তাহলে রোহিঙ্গারা কীভাবে জীবনযাপন করে? মানবেতর জীবনযাপন করে। যারা ইতোমধ্যে এখানে এসেছে তারা তো শরণার্থীর জীবনযাপনই করছে। আমরা যদি আরও ১০ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত খুলে দিয়ে গ্রহণ করি তাহলে তো তারা শরণার্থীই রয়ে যাবে। তাদের যে ভূমির অধিকার, সেটাকে তো আমিই সহযোগিতা করে তা খর্ব করছি। অজান্তেই একটা সহযোগি শক্তি হয়ে গেলাম চীন ও মিয়ানমারের। বিষয়টি আমাদের চিন্তিত কী করে না।
সীমান্ত খুলে দেওয়ার বিষয়ে বিএনপির আহ্বানকে কীভাবে দেখেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি বা অন্যকোনো রাজনৈতিক দল রোহিঙ্গাদের প্রবেশে সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বানের বিষয়ে কিছু বলব না আমি। তবে চীনপন্থি যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, তাদেরকে কি একবারও মিয়ানমারের গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে দেখেছি? দেখছি না। বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের কোথাও এ ধরনের কিছু হলে যেভাবে তারা মানবাধিকারের প্রশ্নটি সামনে নিয়ে আসেন, কথা বলেন, প্রতিবাদ করেন, বিভিন্নভাবে তারা যে তৎপরতা দেখান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের মূল চাপটি মিয়ানমার সরকার বা চীনের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে যে গণহত্যা চালাচ্ছে সেটার দিকে ফোকাস না করে তারা বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করছে। এই চাপ প্রয়োগ করার ফলে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধেই যাচ্ছে তাদের এই সিদ্ধান্ত। সীমান্ত খুলে দিয়ে যদি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয় যে, মিয়ানমার পুশ করে করে সব রোহিঙ্গা নির্মূল করবে। এমনটি যদি করতে পারে তাহলে আমার ধারণা খুব শিগগিরই আরাকান রাজ্যে আর কোনো রোহিঙ্গা খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটা বাস্তবায়নের জন্য অনেকেই সুচতুরভাবে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার নয় আমার কাছে। সরকারের পক্ষ থেকে একেকজন একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। আমি খেয়াল করেছি, এসব বক্তব্যের মধ্যে খুব একটা মিল নেই। কেউ বলছেন, কাউকেই ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না, কেউ বলছেনÑ কিছু কিছু গ্রহণ করছি। কিন্তু আমরা দেখেছি, গণমাধ্যমে যে সংবাদগুলো এসেছে সেখানেও কিছু বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে। বেশকিছু জায়গায় আমরা দেখেছি যে, নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে সরকার কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে বা তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে। সেই জায়গাগুলোতে সরকার আরেকটু শিথিল হতে পারে বলে আমি মনে করি। আমরা সীমান্ত বন্ধ করে দিলাম, কাউকে ঢুকতে দিলাম না এটাই কিন্তু সমস্যার সমাধান নয়। রোহিঙ্গাদের উপর যে অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের মতো অগ্রহণযোগ্য ঘটনাগুলো ঘটছে তার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বা জাতিসংঘসহ তাদের উপর যে চাপ প্রয়োগ করা সেটাও একদিকে চালাতে হবে। অন্যদিকে নারী ও শিশুসহ যারা একধরনের অসহায় তাদের আমরা আশ্রয় দিচ্ছি। কিন্তু বড় ধরনের কোনো পুশ যাতে না করতে পারে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এ বিষয়ে সরকারকে খুব তৎপর থাকতে হবে।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির কঠোর সমালোনাও করেন এই আন্দোলনকর্মী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে সারাবিশ্বে মানুষের মধ্যে একটা নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। তার কারণও রয়েছে। এতদিন ধরে আমরা যারা ধারণা করে এসেছি, নোবেল শান্তি পুরস্কার মানে একটা ভুল জায়গা বা ভুল মানুষের কাছে যাওয়া। যারা কোনোভাবেই গণমানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ করে না বা গণমানুষের অধিকার বা মর্যাদার প্রশ্নে কখনো কিছু বলেন না। এবার আমরা দেখলাম, একটা খোদ গণহত্যাকারীকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে এ যাবৎকালের সবচেয়ে লজ্জাজনক নামটি হচ্ছে অং সান সু চি। যার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শাস্তি হওয়ার কথা, তিনিই নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। সারা পৃথিবীর জন্যই এটা একটা লজ্জা। কারণ এ রকম একটা গণহত্যা চলাকালেও তিনি নীরব। অনেকেই বলছেন, জাতিগতভাবে রোহিঙ্গাদের একটা ধর্মীয় পরিচয় রয়েছে। ধর্মীয় কারণেই ওখানের মানুষ এমন আচরণ করছে কিনা, এই ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই অং সান সু চি নোবেল পেয়েছেন কিনা এসবও কিন্তু আমরা উড়িয়ে দিতে পারছি না। কারণ আমরা দেখছি, সারাবিশ্বে গণহত্যার বিষয়ে সবাই সোচ্চার অথচ আরাকান ও মিয়ানমারে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দেখছি।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন