৫ বারের কমান্ডার, আ.লীগ সভাপতি-সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ

  19-02-2017 07:05AM

পিএনএস ডেস্ক: বগুড়ার সোনাতলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫ বারের কমান্ডার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০২ জন বাদ পড়েছেন।

তবে বাদ পড়া অধিকাংশই এটাকে 'ষড়যন্ত্র' হিসেবে দেখছেন। শিগগিরই আপিল বা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে তারা জানিয়েছেন।

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি সূত্র জানায়, সোনাতলা উপজেলায় গেজেটেড ও এফএফ তালিকাসহ ৫২০ জন মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত ছিলেন। মোট ৪৬৩ জন ভাতাভোগী। অনলাইনে আবেদনকারী ৪৩১ জনের মধ্যে ২৪ জনকে তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি যাচাই-বাছাই শেষে শুক্রবার বিকালে উপজেলা পরিষদে তালিকা টানানো হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সাক্ষী না থাকায় লাল মুক্তিবার্তা, গেজেটেড, সাময়িক সনদধারীসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০২ জন মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।

বাদ পড়াদের অন্যতম হলেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫ বারের কমান্ডার আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান আলী সাজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল করিম শ্যাম্পো, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম বুলু, জেলা কমান্ডের সাংস্কৃতিক বিষয়ক কমান্ডার আবদুল হামিদ মন্ডল প্রমুখ।

বাদপড়া মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী সাজু জানান, তিনি মুজিব বাহিনীর সদস্য। ভারতের উত্তর প্রদেশে দেরাদুনে ও টেন্ডুয়া আর্মি ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। নিয়মিত ভাতা পেয়ে আসছেন।

ক্যাম্প ইনচার্জ বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর প্রত্যয়নপত্র, সাময়িক সনদ, তিনজন সাক্ষী, প্রধানমন্ত্রীর সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়া হলেও তাকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

এজন্য যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য উপজেলা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ও কমিটির অপর সদস্য মতিয়ার রহমানকে দায়ী করে তিনি বলেন, এ কমান্ডারই তাকে ও তার ছেলের চাকরির জন্য প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিলেন। 'পূর্ব বিরোধের জের' ধরে তার বিরুদ্ধে তারা 'ষড়যন্ত্র' করেছেন।

শিগগিরই এ 'অন্যায়ের' বিরুদ্ধে আপিল এবং প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান শাহজাহান আলী সাজু।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম বুলু বলেন, 'ষড়যন্ত্র করে' তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। তিনিও এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানিয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিয়াউল করিম শ্যাম্পো অভিযোগ করে বলেন, 'তিনি ভারতে যুদ্ধ করেননি একথা বলে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।'

সোনাতলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সাক্ষী না থাকাসহ নানা কারণে ১০২ জন মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। তবে এরা ১৫ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।

এছাড়া বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'এখানে কোনো ষড়যন্ত্র হয়নি।'

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন