বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানে সংবর্ধনা

  30-03-2017 07:23PM

পিএনএস : পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন গত সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় স্থানীয় পাঁচ তারকা হোটেল সেরিনায় এক সংবর্ধনার আয়োজন করে। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান ও তার সহধর্মিণী দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।

অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ফেডারেল সরকারের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষার মান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মদ বালিঘ-উর-রহমানসহ সংসদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বেসামরিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সপরিবারে উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতেই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত পরপর বাজানো হয়। অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে হাইকমিশনার তারিক আহসান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে কেক কাটা হয়।



তারিক আহসান তার বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি মন্তব্য করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে বাংলাদেশ নিজেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি দায়িত্বশীল ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ তার উদার ও মধ্যপন্থী নীতির কারণে এবং নিরস্ত্রীকরণ ও বিশ্ব শাস্তি, ভাষার অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন, অটিজমসহ বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চার একটি দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিবেচিত হচ্ছে। আর্থসামাজিক উন্নয়ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের সাফল্যগাথা আমাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপনকে অর্থবহ করে তুলেছে।

অনুষ্ঠান চলাকালে একটি নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত ও দেশাত্মবোধক গানের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশি শিশুদের পরিবেশিত নৃত্য অতিথিদের বিমোহিত করে।

সংবর্ধনাস্থল নানা বর্ণের ফুল ও লাল-সবুজ আলো দিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে সজ্জিত করা ভয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন সংবলিত বিশাল ব্যানার স্থাপন করা হয়। বঙ্গবন্ধু, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও টানানো হয়। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের গৌরবজনক ভূমিকা এবং দেশের আকর্ষণীয় পর্যটনস্থানের ওপর ভিত্তি কবে নির্মিত ভিডিওচিত্র দুটি পর্দায় প্রায় সারাক্ষণ প্রদর্শন করা হয়।



অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি খাবারসহ নানরকম সুস্বাদু খাবার পরিবেশিত হয়। এর আগে, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ২৬ মার্চ রোববার সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তারিক আহসান। এরপর বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

পরিশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় মিশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন