জিনজিরার হাসপাতালে সকালে ডাক্তার, বিকেলে কুকুর!

  25-04-2017 02:28PM

পিএনএস ডেস্ক: জিনজিরার ২০ শয্যা হাসপাতালটি মানুষের চিকিৎসা বদলে কুকুরের বাসস্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। কর্মচারী থাকা সত্ত্বেও অযত্নে অবহেলায় হাসপাতালটি কুকুরের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। চার তলা হাসপাতাল জুড়ে সারাদিন কুকুররা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করছে। আবার কোনো কোনো সিঁড়িতে কুকুরের বিষ্ঠা পড়ে আছে।

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থিত হাসপাতালটি। ২০০৪ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৬ সালের ৭ জুলাই ওই সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেন হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন।

দীর্ঘদিন ধরে অজানা কারণে নামে মাত্র টিকে আছে ২০ শয্যার এই হাসপাতাল। সেখানে নেই কোনো চিকিৎসাসেবা। যে কারণে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে আশপাশের কয়েক হাজার মানুষ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই হাসপাতালের জন্য প্রায় ২০/২২ কর্মচারী রয়েছে। যারা পার্শ্ববর্তী অন্য হাসপাতালে কাজ করে। এত কর্মচারী থাকা সত্ত্বেও অযত্নে অবহেলায় হাসপাতালটি কুকুরের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। বিকেলের পর হাসপাতালের মূল ফটকে তালা লাগানো থাকে।

সম্প্রতি জানা যায়, হাসপাতালটির চার তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ওঠার সময় দেখা যায় একটি কুকুর সিঁড়ি দিয়ে নামছে। তৃতীয় তলায় সম্পূর্ণ সিঁড়িটির বিভিন্ন স্থানে কুকুরের বিষ্ঠা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

পুরো হাসপাতালের কোথাও রোগী ভর্তির জন্য কোনো শয্যা ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালের পানির পাম্প নষ্ট। এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা হয় না। এখানে শুধু ব্রাক এনজিওর মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগের কফ পরীক্ষা করা হয়।

জিনজিরা এলাকার এক বাসিন্দা জানান, আমি কফ পরীক্ষার জন্য একদিন বিকেলে গিয়ে দেখি হাসপাতালের ডাক্তারও নেই আর মূল ফটকে তালা ঝুলানো। পরের দিন সকালে গিয়ে আমি কফ পরীক্ষা করি। এই হাসপাতালে কফ পরীক্ষা ছাড়া অন্যকোনো চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় না। হাসপাতালের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা। এছাড়া হাসপাতালের ভেতর কুকুরের আবাসস্থল।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন