রাজধানী ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ

  23-06-2017 12:37PM

পিএনএস ডেস্ক:লঞ্চ, ট্রেন ও বাস স্টেশনে ঈদ যাত্রার হাওয়া লাগলেও চাপ নেই সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে। ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করলেও যাত্রীদের ঢল নামেনি নরগীর এ বাস টার্মিনালে।

আগে যারা টিকিট কেটেছেন তারাই বিলম্ব না করেই বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করছেন। তবে এখনও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছুটি না হওয়ায় যাত্রীদের সমাগম তেমন নেই সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে।

শুক্রবার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেল, যারা বাসের অগ্রিম টিকিট নিয়েছিলেন তাদের উপস্থিতি বেশি। এখনও সারি সারি বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে আছে।

সায়েদাবাদে ঈগল পরিবহনের দায়িত্বে থাকা শাহ আলম চুন্নু জানান, যারা অগ্রিম টিকিট নিয়েছেন মূলত তারাই ঢাকা ছাড়ছেন। সন্ধ্যার পর হয়তো কিছুটা বাড়তে পারে। অনেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা হয়তো পরে আসবেন। তবে ৩০ মিনিট পরপর বাস টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে।

সায়েদাবাদে আল বারাকা হিমালয় লিমিটেড পরিবহনের নম্বর কাউন্টার ম্যানেজার কবির হোসেন জানান, নোয়াখালী, চাটখিল, রামগঞ্জের যাত্রী বেশি আসছেন। ৩৬ সিটের চেয়ার কোচ ভরেই তারা গাড়ি ছাড়ছেন।

আল মোবারকা পরিবহনের টিকিট মাস্টার ভুট্টু বলেন, সিলেট-চট্টগ্রামের যাত্রী নেই। বরিশাল-খুলনাসহ দক্ষিণ অঞ্চলের গাড়ি গাবতলী থেকে বেশি ছেড়ে যাচ্ছে। সিলেটের যাত্রীরা সাধারণত ঈদের আগের দিন ও পরের দিন ঢাকা ছাড়েন।

সুরমা পরিবহনের চালক শংকর বললেন, যাত্রী থাকলে ভিড় দেখতেন। যাত্রীদের যা উপস্থিতি দেখছেন তা একেবারেই নগণ্য। তবে সকাল থেকেই টার্মিনালে অল্প অল্প যাত্রী আসছেন। যানজটের কারণে অনেকে সময় মতো অাসতে পারছেন না।

সায়েদাবাদ টার্মিনালে যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে ভিজিলেন্স টিম কাজ করছে। যাত্রীদের যেকোন অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন ভিজিলেন্স টিমের সদস্য ও বিআরটি ‘র মটর যান পরিদর্শক এমরান খান।

তিনি বলেন, যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া ও কোন হয়রানি করা হচ্ছে কিনা সেদিকে নজরধারী চলছে। হয়রানি বা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন