কাছ থেকে নিক্ষেপ করা হয় টিয়ারশেল

  25-07-2017 03:36PM

পিএনএস ডেস্ক : ‘টিয়ারশেলের গ্যাস গান কখনো সরাসরি নিক্ষেপ করা যায় না। নিচুতেও নিক্ষেপ করা যায় না। তাহলে শেলটা পড়ে যায় এবং বিস্ফোরণ হয় না। এটাকে মিনিমাম ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে মারতে হয়। যাতে বাতাসে এটা বিস্ফোরিত হয়ে গ্যাসটা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং শেলটা আস্তে করে নিচে পড়ে যায়।’ টিয়ারশেলের আঘাতে একই সঙ্গে দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কলেজছাত্র সিদ্দিকুর রহমানকে দেখতে গিয়ে গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এমনটাই বলেন।

তবে ঘটনার দিনের ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে নয়, সরাসরি খুব কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল (টিয়ারশেল) নিক্ষেপ করে। তার পরপরই সিদ্দিকুর পড়ে যান।

রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে ২০ এপ্রিল শাহবাগে অবস্থান নিতে গিয়ে পুলিশের ‘কাঁদানে গ্যাসের শেলে’ দুই চোখে আঘাত পান সিদ্দিকুর।

এদিকে, ডিএমপি কমিশনারের ওই বক্তব্য সহপাঠী ও শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তাঁরা বলছেন, পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেলের আঘাতে সিদ্দিকুরের একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আরেকটি চোখ যখন অনিশ্চয়তার মধ্যে, ঠিক তখন কমিশনারের এমন বক্তব্য দুঃখজনক। ওই দিনের ঘটনার বিভিন্ন আলোকচিত্র ও ভিডিওচিত্র থেকে এটা খুব স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে পুলিশ সদস্যের কাঁদানে গ্যাসের শেলের আঘাতেই সিদ্দিকুরের আজকের এ অবস্থা। দোষী পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা দাবি করছেন তাঁরা।

সিদ্দিকুরের সহপাঠী শেখ ফরিদ বলেন, ‘টিয়ারশেলের আঘাত কিনা, এটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও আলোকচিত্রে তা স্পষ্ট।’

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় আহত তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুরের চোখের চিকিৎসা চলছে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বাম চোখের এক পাশ থেকে আলো দেখছেন সিদ্দিকুর রহমান। তবে, ডান চোখে কোনো আলো দেখতে পাচ্ছেন না তিনি।

সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিদ্দিকুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে পাঠাবে সরকার।

প্রথম আলো
পিএনএস/জে এ/মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন