পিএনএস (কামাল পাশা দোজা) : ০২ ডিসেম্বর, বিজয়ের মাসের দ্বিতীয় দিন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্বের পর বিজয়ের মহেন্দ্রক্ষন আসে ষোলই ডিসেম্বর।
যদিও নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে। একের পর এলাকা মুক্ত হতে থাকে। অবশ্য অনেক এলাকায় পাক হানাদার বাহিনী তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর, আল-শামস্ বাহিনীর সহায়তায় মরন কামড় দেয় টিকে থাকার জন্য।
কিন্তু মুক্তি যোদ্বাদের দৃঢ় মনোবলের কারনে হানাদারদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। নব উদ্যমে অকুতোভয় বীর যোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে পাক হানাদারদের উপর সর্বাত্মক আক্রমন শুরু করে। বিভিন্ন রনাঙ্গন থেকে হানাদার বাহিনীর পিছুঁ হঠার সংবাদে মুক্তি শিবিরে যেন নব প্রানের সঞ্চার হচ্ছিল।
স্বধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ইথারে মুক্তি বাহিনীর বিজয় বার্তা বাংলার আকাশে বাতাসে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল। চারদিকে জয়ের শ্লোগানে যেন ভূবন কাপিয়ে যাচ্ছিল। রনাঙ্গনের যোদ্বারা মাতৃভূমির প্রতিটি ইঞ্চি জমি মুক্ত করার জন্য নতুন ভাবে প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
এমনিতেই নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই মুক্তি বাহিনীর অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল-এর মাঝে নতুন মাত্রা যোগ করে বিভিন্ন রনাঙ্গনের সাফল্যের বীরগাথাঁ তাজা খবর। তারপর পাক বাহিনীর গতিবিধিও বীর যোদ্বাদের উৎসাহিত করে। গেরিলা বাহিনীর কাছে খবর পৌঁছে যায় যে বিভিন্ন জেলা শহর থেকে হানাদার বাহিনী রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।এতে প্রতীয়মান হচ্ছিল যে হানাদারদের পরাজয় নিকটবর্তী।
লেখক-সাংবাদিক,কলামিষ্ট
ফিরে দেখা ’৭১ - রনাঙ্গনের দিনগুলি (১)
পিএনএস/দোজা/শাহাদাৎ
ফিরে দেখা ’৭১ - রনাঙ্গনের দিনগুলি (২)
01-12-2014 06:34PM