সপ্তাহে ১৫০০ রোহিঙ্গা নিতে রাজি মিয়ানমার

  17-01-2018 09:17AM


পিএনএস ডেস্ক: সপ্তাহের প্রতিটি কর্মদিবসে ৩০০ জন করে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে আগামী দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শেষ করার বিষয়ে একমত হয়েছে ঢাকা ও নেপিডো। গতকাল মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে প্রত্যাবাসনবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডাব্লিউজি) প্রথম বৈঠকে ওই ঐকমত্য হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মাঠপর্যায়ের ব্যবস্থাপনাবিষয়ক ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ও চূড়ান্ত হয়েছে বৈঠকে।

ফিরে যাওয়ার হার এত ধীরগতির হলে আশ্রিত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার ফিরে যেতে অনেক সময় লাগতে পারে—এমন আশঙ্কার কথা স্বীকার করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকও। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, ‘এ ধরনের অবস্থায় এ ধরনের প্রত্যাবাসন এভাবেই হয়। কারণ আমরা সব কিছু চাইতে পারি না। আমরা তাদের নিরাপত্তার কথাও বলব, আবার আমরা চাইব যে একসঙ্গে সবাইকে পাঠিয়ে দেব; ওরা এখনই তা দিতে পারছে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো, আমরা এখানে একটি ধারা রেখেছি, যেখানে বলা আছে যেদিন থেকে (রোহিঙ্গাদের) যাওয়া শুরু হবে, সেদিন থেকে দুই বছরের মধ্যে এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শেষ হবে।’

পররাষ্ট্রসচিব আরো বলেন, প্রথমে অল্প করে যাওয়া শুরু হবে। পরে এই সংখ্যা বাড়বে। কবে থেকে যাওয়া শুরু হবে তা জানাতে পারেননি তিনি। পররাষ্ট্রসচিব বলেন, পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন দ্রুততম সময়ে তাদের যাওয়া শুরু হবে।

মো. শহীদুল হক বলেন, সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার। বাংলাদেশ প্রতি সপ্তাহে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর দাবি করেছিল। কিন্তু মিয়ানমার এক হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা নিতে রাজি হয়েছে। তিন মাস পরে পর্যালোচনা করে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গারা রয়েছে তারা কিভাবে, কোন পথ দিয়ে ফেরত যাবে; মিয়ানমারে তাদের কোথায় রাখা হবে; নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী হবে—এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রাখাইনে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জীবন-জীবিকার বিষয়গুলোও সমঝোতায় উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রথম দফায় ১২৫৮ রোহিঙ্গাকে নিতে চায় মিয়ানমার : প্রথম দফায় ৭৫০ জন মুসলমান ও ৫০৮ জন হিন্দু রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে চায় মিয়ানমার। গতকাল নেপিডোতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, মিয়ানমার সরকার এরই মধ্যে তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করেছে। প্রত্যাবাসনের জন্য প্রথম দলে তাদের রাখতে মিয়ানমার বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে।

মিয়ানমার কিভাবে তাদের পরিচয় যাচাই করেছে তা স্পষ্ট নয়। এর আগে মিয়ানমার একতরফাভাবে হিন্দু রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার মাধ্যমে প্রত্যাবাসন শুরুর ঘোষণা দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ শুরুতেই ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে প্রত্যাবাসন উদ্যোগকে সমর্থন করেনি।

ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা : গত ২৩ নভেম্বর নেপিডোতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সই হওয়া প্রত্যাবাসন চুক্তিতে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার কথা থাকলেও এ নিয়ে জোরালো সংশয় রয়েছে। মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান এএফপিকে বলেন, ২২ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু সম্ভব নয়। সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। গত বছরের ২৫ আগস্ট নতুন করে হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছে ছয় লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের আগে থেকে বাংলাদেশে মিয়ানমারের তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছিল। সে হিসাবে বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখের বেশি হলেও এবার প্রত্যাবাসনের আগ্রহ প্রকাশ করতে পারবে প্রায় সাত লাখ ৪২ হাজার রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার শিশু, যারা অনাথ বা মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি কর্মকর্তারা বলেন, গত সোমবার বৈঠকে উভয় পক্ষ সব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারায় তা দ্বিতীয় দিনে গড়ায়। প্রতি সপ্তাহে ১৫ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিয়ানমার তা মানেনি। ওই দেশটির প্রস্তাব ছিল শনি ও রবিবার বাদ দিয়ে সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসে এক হাজার ৫০০ জন করে (প্রতি কর্মদিবসে ৩০০) রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেওয়ার। এতে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষ যে প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে তাতে দিনে ৩০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন হবে। এভাবে তিন মাস চলার পর সংখ্যা বাড়ানো হবে।

মিয়ানমার প্রতি শনি ও রবিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি পাঁচ কর্মদিবসে প্রতিদিন ৩০০ জন করে রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নিলে দুই বছর শেষে তা এক লাখ ৫৬ হাজার ৪২৯ জনে দাঁড়াবে। অর্থাৎ মিয়ানমার যদি সংখ্যা না বাড়ায় এবং দুই বছরের সময়সীমায় অনড় থাকে তবে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাত্র ২১ শতাংশ ফেরত যাবে। বাকি থাকবে বড় অংশই। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী দিনেও মিয়ানমারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার সুযোগ থাকবে। মিয়ানমারের সদিচ্ছা থাকলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের মতামতও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তারা রাজি না থাকলে ফেরত পাঠানো যাবে না।

এক ফরমে পুরো পরিবার : মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস গতকাল দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব মিন্ট থুয়ের নেতৃত্বে গত সোমবার ও গতকাল রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনবিষয়ক জেডাব্লিউজির প্রথম বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রত্যাবাসনের জন্য ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে। সমঝোতা অনুযায়ী, প্রত্যাবাসন শুরুর দুই বছরের মধ্যে তা শেষ করা হবে। পরিচয় যাচাই ও ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি পরিবারকে একটি ইউনিট হিসেবে বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ এক ফরমেই পুরো পরিবারের প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব বিবেচনা করা যাবে। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য একটি ফরম চূড়ান্ত করা হয়। অনাথ ও অযাচিত ঘটনায় জন্ম নেওয়া শিশুদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চুক্তি অনুযায়ী হবে।

শিবির বানাবে দুই দেশ : বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশ পাঁচটি ট্রানজিট শিবির নির্মাণ করবে। অন্যদিকে মিয়ানমার তার সীমানায় রোহিঙ্গাদের প্রাথমিকভাবে গ্রহণের জন্য দুটি অস্থায়ী অভ্যর্থনা শিবির বানাবে। এরপর মিয়ানমার উত্তর রাখাইনের হ্লা পো খুয়াংয়ের একটি শিবিরে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবে। তাদের জন্য দ্রুত বাড়ি নির্মাণ করে পরবর্তী সময়ে সরিয়ে নেওয়া হবে।

মিয়ানমারে সরকারি সংবাদ মাধ্যমে গত সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্লা পো খুয়াংয়ের একটি শিবিরে প্রত্যাবাসনের জন্য বিবেচিতদের অস্থায়ীভাবে রাখা হবে। ১২৪ একরের ওই শিবিরে ৬২৫টি ভবনে প্রায় ৩০ হাজার লোক থাকতে পারবে।

মিয়ানমারের মানবিক সহায়তাবিষয়ক দপ্তরের প্রধান সমন্বয়ক অং তুন থেট রয়টার্সকে বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ বসতবাড়ি বা তার কাছাকাছি কোনো স্থানে পাঠানোর আগে হ্লা পো খুয়াংয়ের শিবিরটিতে অস্থায়ীভাবে রাখা হবে। বাংলাদেশ থেকে যারা ফিরতে চায় তাদের সবাইকেই মিয়ানমার নিতে চায়। রাখাইনের বাসিন্দা হিসেবে প্রাথমিকভাবে যাচাই হওয়া ব্যক্তিদের প্রথমে নেওয়া হবে তংপিয়োলেতওয়েই বা নাখুইয়া শিবিরে। এরপর যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে হ্লা পো খুয়াংয়ে নিয়ে আরেক দফা যাচাই করা হবে।

মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক স্থায়ী সচিব সোয়ে অং বলেন, ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের বাড়ি নির্মাণের আগে এক বা দুই মাস হ্লা পো খুয়াংয়ের শিবিরে থাকতে হবে।

গত ২৩ নভেম্বর সই হওয়া প্রত্যাবাসন চুক্তিতে বলা হয়েছে, ‘অযাচিত ঘটনায়’ জন্ম নেওয়া শিশুদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে বাংলাদেশের আদালতের সনদ লাগবে।

মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পুনর্বাসনের কথা বিবেচনা করবে মিয়ানমার। একইভাবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে আসা বন্ধ করার ব্যাপারেও মিয়ানমার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। উভয় দেশ দুটি কারিগরি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করতেও সম্মত হয়েছে। এর একটি পরিচয় যাচাই বিষয়ক, অন্যটি ফিরে যাওয়া বিষয়ক। ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্টে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া সম্পর্কিত আরো অনেক বিষয় রয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানের প্রত্যাবাসন চায় ইউএনএইচসিআর : জানা গেছে, ৩০ দফা ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্টে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিক গতকাল জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে জোর দিয়ে বলেছেন, প্রত্যাবাসন অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনার অংশীদার হতে চায়।

ইউএনএইচসিআর আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ আছে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। গতকালের ব্রিফিংয়ে সংস্থাটি বলেছে, রোহিঙ্গারা যখন ফিরতে চাইবে তখনই তাদের নিজ বাড়িঘরে ফেরার সুযোগ থাকা উচিত।

অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ—দুটিই আছে : মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা গতকাল বিকেলে বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যে ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট চূড়ান্ত করেছে তা একটি অগ্রগতি। কারণ এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমার প্রত্যাবাসনে সম্মত হয়েছে। দুই বছরের মধ্যে প্রত্যাবাসন শেষ করার কথা বলা হলেও ইংরেজিতে ‘প্রেফারেবলি’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ এটিকে আদর্শ সময় ধরে ওই সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন শেষ করার আগ্রহ ব্যক্ত করা হয়েছে।

অনুপ কুমার চাকমা বলেন, অগ্রগতির পাশাপাশি বড় পরিসরে চারটি চ্যালেঞ্জ তিনি দেখতে পাচ্ছেন। এগুলো হলো দ্রুত ও যথার্থভাবে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা, রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে আগ্রহী হওয়া, রাখাইনে যাওয়ার পর তাদের বাসস্থান, নাগরিকত্বসহ সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা এবং দুই বছর সময়সীমার মধ্যে প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করা।

বাংলাদেশ আশাবাদী : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহিরয়ার আলম গতকাল ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ বরাবরই আশাবাদী। গত সোমবার পর্যন্ত ৯ লাখ ৯৯ হাজার রোহিঙ্গাকে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়েই সমস্যার ব্যাপ্তি বোঝা যায়।

তিনি বলেন, বড় চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে তারা সেখানে গিয়ে কোথায় থাকবে। ২৩ নভেম্বরের চুক্তিতেও বলা হয়েছিল যে একটি অস্থায়ী জায়গায় তারা থাকবে। সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের নিজেদের গ্রামে পুনর্বাসন করা হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চুক্তির মধ্যেই স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও সম্মানজনক উপায়ে ফিরে যাওয়ার বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছি। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সময়ই বাংলাদেশের উদ্যোগে ইউএনএইচসিআরের সম্পৃক্ততা আনুষ্ঠানিক করা হয়েছে। এটি আগে ছিল না। ধারাবাহিকভাবে যখনই সুযোগ থাকবে তখনই আমরা একে আরো দৃঢ় করার চেষ্টা করব।’ সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ না করে তিনি আশা করেন, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বানের জলের মতো ১৯ দিনে এসেছে চার লাখ রোহিঙ্গা। সেই জায়গায় সেভাবে ফেরত যাওয়ার সুযোগ নেই। একটি সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যেতে মানবিকভাবে যে সময়টুকু প্রয়োজন সেটিই হয়তো লাগবে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন