টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নতুন তালিকা করা হবে: ডিআইজি

  30-09-2020 04:49PM

পিএনএস ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে আবারো বেড়ে গেছে মাদক ব্যবসা। যার কারণে টেকনাফ উপজেলায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নতুন তালিকা করা হবে। কোন মাদক কারবারীদের একবিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব, সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ী আইনের দৃষ্টিতে দুটিই অপরাধ। এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা রিভিউ করে তাদের বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তাই করব। নতুন তালিকা করে ইতোপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে কী ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল, কী মামলা আছে, কার কী প্রোফাইল সব কিছু যাচাই করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে টেকনাফ মডেল থানা পরিদর্শন এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।

তিনি আরো বলেন, টেকনাফে সিনহার ঘটনাটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। একসঙ্গে সবাই বদলি হয়েছেন। এখন কনস্টেবল থেকে এসপি পর্যন্ত যারা আছেন সবাই নতুন। নতুনভাবে যারা যোগদান করেছেন তাদের মনোবল বৃদ্ধি করা এবং পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে উৎসাহ দিতে এসেছেন। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশের যে ভূমিকা আছে সেটি পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করবে নতুন টিম। অপরাধ প্রবণতা দূর করতে সবাই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত আছে। আসার আগে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। মাদক এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা যে অপরাধগুলো আছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ডিআইজি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো কারণে কিছুটা শিথিল হয়েছিল পুলিশের কার্যক্রম। সেই শিথিলতা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে জেলা পুলিশের নতুন টিম।

কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, থানা নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের জায়গা। এখানে কোন দালাল-টাউটকে ঘেঁষতে দেওয়া হবে না। দালালরা বিন্দু পরিমাণ ছাড় পাবে না।

এ সময় কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শাকিল আহমেদ ও টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমানসহ সকল অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশী চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় কমিউনিটি পুলিশের ভুমিকা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠে। ফলে এ ঘটনার পর পুলিশের কর্মকান্ড নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা-প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। জেলা পুলিশকে ঢেলে সাজাতে একযোগে সব সদস্যকে বদলির সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশের সদর দফতর।

পিএনএস/এসআইআর


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন