‘পুলিশের হাতে অযাচিত হেনস্তার শিকার হন ডা. জেনি’

  19-04-2021 08:12PM

পিএনএস ডেস্ক : রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক ডা. সাঈদা শওকত জেনি পুলিশের হাতে অযাচিত হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। একইসঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিষদ।

স্বাচিপের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবু নাসার রিজভী ও সদস্য সচিব ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘১৮ এপ্রিল রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ডা. সাঈদা শওকত জেনি উনার কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরার পথে পুলিশের হাতে অযাচিতভাবে হেনস্তার শিকার হন। স্বাচিপ, বিএসএমএমইউ শাখা মনে করে যে, যার খণ্ডিত অংশ চিকিৎসক সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়। আমরা পুলিশ ও প্রশাসনের এমন গর্হিত কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।’

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘বর্তমানে কোভিডের এ সংকটজনক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে চিকিৎসকরা যখন সম্মুখসারিতে ঝুঁকি নিয়ে লড়ে যাচ্ছে তখন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরার পথে পুলিশ ডা. জেনির গাড়ি থামিয়ে তার কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চায়। এ সময় নিজের পরিচয় ও গাড়িতে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের লোগো সম্বলিত স্টিকার, পরিচালক ইস্যু করা পাস ও বিএসএমএমইউর লোগোসহ ডাক্তারের নামাঙ্কিত অ্যাপ্রন দেখালেও সবকিছুকে ভুয়া বলে ডা. জেনিকে ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্থা করা হয়। ’

এতে আরও বলা হয়, ‘ডাক্তারদের মুভমেন্ট পাস লাগবে না বলে ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হলেও পুলিশ ডা. জেনির কাছে অন্যায়ভাবে মুভমেন্ট পাস চায়। আমরা আরও বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, বিতর্কের একপর্যায়ে পুলিশ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার পাপিয়ার সঙ্গে তুলনা করছে। যা একজন নারী চিকিৎসকের জন্য চরম অপমানের। আমরা মনে করি এর মাধ্যমে পুলিশ শুধু ডা. জেনিকে নয়, বরং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসককে এবং সর্বোপরি একজন সম্মানিত নারীকে হেয় করেছে।’

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাঈদা শওকত জেনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকে পড়েন। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন।

চেক পোস্টে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে আইডি কার্ড দেখতে চান। আইডি কার্ড দেখাতে না পারলে মুভমেন্ট পাস দেখতে চান ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ। এ সময় ওই চিকিৎসক কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসা করেন, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে? পুলিশের কাছে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করেন চিকিৎসক। এ সময় পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটও নিজেদের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে অনেক্ষণ বাগ-বিতণ্ডা হয় তাদের মধ্যে। এ ঘটনার একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন