‘জনগণের সমর্থিত বিরোধী দলের সাথে সংলাপের বিকল্প নাই’

  28-10-2016 02:51PM


পিএনএস: আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ‘বিএনপির সাথে সংলাপের প্রয়োজন নাই’ বক্তব্যে কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, যতই বলেন সংলাপ করবেন না, লাভ নাই। বিশ্ব জানে, দেশবাসী জানে এদেশের জনসমর্থিত বিরোধী দল বিএনপি আর বিরোধী জোট ২০ দলীয় জোট। আপনাদের তৈরী বিরোধী দলকে দেশবাসী, আর্ন্তজাতিক শক্তি কেউ বিরোধী দল মনে করে না। সুতরাং জনগনের সমর্থিত বিরোধী দল ও জোটের সাথে সংলাপের কোন বিকল্প নাই।

নজরুল ইসলাম খান আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি আয়োজিত ‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে জনগনের প্রত্যাশা’-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। ইসলামিক পার্টি চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন লেবার পার্টি চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিশিষ্ট সমাজসেবক এম.এ. রশিদ শাহ স¤্রাট, ইসলামিক পার্টি মহাসচিব এডভোকেট আবুল কাশেম, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, এডভোকেট আল-আমিন, কে.এম রকিবুল ইসলাম রিপন, ক্বারী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের জন্য দেশের সকল রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। মেরুদন্ডহীন, দলীয় অন্ধ অনুগত কোন নির্বাচন কমিশন দেশবাসী মানবে না। সকলের সম্মতিতেই নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আলোচনার নামে শুধু নাটক করলে হবে না। তিনি বলেছেন, সৎ-যোগ্য-সাহসী, আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যাক্তিদেরকেই নির্বাচন কমিশনে আনতে হবে। আবার যদি সরকার কোন নির্বাচনী নাটক করতে চায় তাহলে জনরোষেই সরকারের পতন হবে।

ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, হাসানুল হক ইনুরাই জঙ্গিবাদের জন্মদাতা। তারা জঙ্গিবাদের নাটক মঞ্চস্থ করে একের পর এক বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে। জঙ্গিবাদের উৎস খুজে বের করতে হলে ইনুদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি অধিকার আদায়ে জনগনকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ১৯৭৩ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের নামে গণতন্ত্রের ইতিহাসে যে কলঙ্ক লেপন হয়েছে তার দায়ভাবর আওয়ামী লীগকে অনাদিকাল পর্যন্ত বহন করতে হবে। গণতন্ত্র মানে শুধুমাত্র নির্বাচন নয়, মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। আজ রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে অগণতান্ত্রিক অপশক্তি জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে। এই জগদ্দল পাথর অপসারনে গণআন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

এডভোকেট আবুল কাশেম বলেছেন, স্বাধীনতার চেতনা আর মুক্তিসংগ্রামের গণতন্ত্রের স্বপ্ন আজো অধরাই রয়ে গেছে। বর্তমানে স্বৈরাচারের নয়া লেবাসে স্বৈরাচার ও বাকশালের মিশ্রণে ডিজিটাল গণতন্ত্রের যুগ চলছে।

সভাপতির বক্তব্যে আবু তাহের চৌধুরী বলেছেন, কোন প্রভুত্ব বাংলাদেশের জনগন অতিতেও মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও মেনে নিবে না। শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য যারা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্চলি দিবে ইতিহাসের কাছ গড়ায় তাদের বিচার হবে। এক সাগরের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে এক চুলও আপোস করা হবে না।

পিএনএস/আনোযার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন