ভারত তার নিজের স্বার্থেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা চায় না: জাফরুল্লাহ

  25-02-2018 08:45AM


পিএনএস ডেস্ক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন,‘ভারত তার নিজের স্বার্থে বাংলাদেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের চর্চা হোক তা চায় না। আমাদের দেশে গণতন্ত্রের জন্য প্রথম অন্তরায় হচ্ছে ভারত।’

শনিবার ঢাকা ফোরাম আয়োজিত ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভারত থেকে প্রায় আমরা বলতে শুনি বাংলাদেশে যদি সরকার পরিবর্তন হয়, তাহলে ভারত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। তাই একটি গোষ্ঠী ভারতকে অনুনয়-বিনয় করে বলে আসেন ব্যবস্থা নেন তা না হলে সেভেন সিস্টারসেস (ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭ রাজ্য) শান্তি থাকবে না। এটা আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারির বক্তব্য।’

তিনি আরো বলেন,‘আমি ভারতের কথা বারবার এজন্য বলছি কারণ ভারত তার নিজের স্বার্থে আমাদের দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের চর্চা হোক তা তারা চায় না।’

এই আলোচনা সভায় আরও অংশ নেয় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূতসহ বিশিষ্টজনেরা। সরকার একরোখা হয়ে দেশ চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করে কেউ কেউ।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে বিরোধী দল বলে কিছু নেই। পুরোপুরি একদলীয়, একদলীয় শাসনে যা হয় সংসদেও তাই হচ্ছে। নির্বাহী বিভাগের অবস্থা আমার বলার প্রয়োজন নেই, দলীয়করণে সংসদ চরম পর্যায়ে চলে গেছে, এখানে বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে হয়েছে এবং দেশত্যাগ করতে হয়েছে।

সাবেক মন্ত্রী পরিষদের সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল সেভেন্টি একটা বড় রকম প্রতিবন্ধক হিসেবে গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনার কাজ করছে বলে আমি মনে করি এবং এটার বিরুদ্ধে কোনো বড় দল কথা বলেছে বলে আমরা শুনিনি। এটা সুশীল সমাজ থেকে তারা যখন বলে, তখন তারা এটাকে উপেক্ষা করে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, আজ দেশে অনেক অর্জনের কথা বলা হচ্ছে, এটা ধোকাবাজি। যে জাতির সরকার গঠনের অধিকার থাকে না সে জাতি গোলাম। আমাদের বড় ব্যর্থতা আমাদের দেশে সরকার আছে, কিন্তু জনগণ ভোট দিতে পারছে না। আমাদের দাবির ভিত্তি কী?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা কথা বলতে পারি না এবং কাগজে কোন আর্টিকেল কেন ছাপাতে চায় না। সমাধানের কথা যদি আমরা বলি তাহলে বর্তমান প্রাইম মিনিস্টার এটা করতে পারছেন না। তাহলে এটা নির্বাচনের উপর গিয়ে প্রভাব পড়বে। সুতরাং নির্বাচনের রাজনীতিতে রোহিঙ্গা ইস্যু জড়িয়েছে।

পাশাপাশি এখানে সবার অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচন জন্য সংসদে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর প্রতিও আহ্বান জানান আলোচকরা।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন