বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ইশতেহারে ২৬ দফা

  08-12-2018 05:22PM

পিএনএস ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২৬ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। দলটি এবারের নির্বাচনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এই দলের নির্বাচনী প্রতীক কোদাল।

আজ শনিবার সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, এই ইশতেহার গণতান্ত্রিক, মানবিক ও দায়বদ্ধ রাষ্ট্র ও সমাজ কায়েমে অধিকার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে ‘কোদাল’ মার্কার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ২৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন।

ইশতেহারের ২৬ দফার শুরুতে রয়েছে—সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, রাষ্ট্রের আইন, নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করা, সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে সাংবিধানিক পদে নিয়োগ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অগণতান্ত্রিক ও নিবর্তনমূলক ধারা বাতিল, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও সব রাজনৈতিক হত্যার বিচার করা, ধর্মীয় ও জাতিগত বৈষম্য দূর করা, গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ, কালোটাকা ও পেশিশক্তি–নির্ভর নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করা ইত্যাদি।

এ ছাড়া, ভোট প্রয়োগে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাধাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা; দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা; দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, দুর্বৃত্তায়ন ও দলীয়করণ বন্ধ করা; কর্মসংস্থান, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও দারিদ্র্যের অবসান ঘটানো; গ্রামীণ ও কৃষিখাতের অগ্রাধিকার; শ্রমিক ও শিল্পখাতের বিকাশ সাধন; শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্যসেবাসহ সামাজিক খাতগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া; সংরক্ষিত নারী আসন বাড়ানো ও প্রত্যক্ষ নির্বাচন চালু; শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ-দুস্থদের অধিকার নিশ্চিত করা; বাস্তুহীনদের বাসস্থান ও বাড়ি ভাড়া আইন কার্যকর করা; প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষা করা; রামপাল ও রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থগিত করা; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা; পরিবেশ আদালত গঠন; জাতীয় স্বার্থে অর্থনৈতিক নীতি, সক্ষম তরুণ-তরুণীদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া, তিস্তার পানি ও রোহিঙ্গাসহ সব দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান করার মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

ইশতেহার ঘোষণার সময় সাইফুল হক বলেন, ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ পেলে এবার জনগণের ভোট জাগরণ ঘটবে। বর্তমান দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে জনগণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ক্রমে প্রবল হয়ে উঠছে। সমাজের ভেতর থেকেই পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা জোরদার হয়ে উঠছে।

এ সময় পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, শাহাদাৎ হোসেন খোকন, শেখ মো. শিমুল, অধ্যাপক মনোজ কুমার সেন, রাশিদা বেগম, মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন