বাগেরহাট-৪ আসনে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন মিলন

  16-02-2020 01:18AM



পিএনএস ডেস্ক: বাগেরহাট-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আমিরুল আলম মিলন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৭ বছর মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ১৫ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।

আগামী ২১ মার্চ বাগেরহাট-৪ আসনে (মোড়েলগজ্ঞ-শরণখোলা) উপ-নির্বাচন। এই আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন গত ১০ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করলে এটি শূন্য হয়। মরহুম ডা. মোজাম্মেল হোসেন বাগেরহাট থেকে ৫ বার নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর একটানা বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত থাকাকালীন ১০ জানুয়ারি ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুত্যুবরণ করেন।

বাগেরহাট-৪ আসনে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন রয়েছে এবং মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন ধার্য রয়েছে।

এদিকে আওয়ামী লীগ থেকে বাগেরহাট-৪ আসন থেকে দলীয় প্রার্থী ঠিক করলেও বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে যারা চেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, মৎস দলের কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বাগেরহাট জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত শামছুল আলম তালুকদারের মেয়ে জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফারহানা জাহান নিপা। রোববারের (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে দলটি তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বলে জানা গেছে।

আমিরুল আলম মিলন ১৯৫৩ সালের ২২ জানুয়ারি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে এস এম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন এবং তার রয়েছে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন। আশির দশকের ছাত্র আন্দোলনের ঐতিহ্য ও ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে তৎকালীন ছাত্রনেতাদের মধ্যে যে কয়জন আজও রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয় অবদান রাখছেন, মিলন তাদের মধ্যে অন্যতম।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি থাকাকালীন ১৯৮৪ কোর্ট মার্শালে মিথ্যা মামলায় এবং ১৯৮৮ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দলোনে তাকে কারাবরণ করতে হয়েছিল। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে তাকে জীবন বীমা কর্পোরেশনের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে এর আগে গণভবনে বাগেরহাটের ১১ জন প্রার্থী এসেছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের পুত্রবধূ ও সাবেক মন্ত্রী রংপুরের সাংসদ আনিসুল হক চৌধুরীর কন্যা ইসমত আরা শিরিন চৌধুরী, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এআইজিপি অধ্যাপক আব্দুর রহিম খান, মোড়েলগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র মনিরুল হক তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মোশারফ হোসেন. জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু।

পিএনএস/হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন