৪৫ বছরে পা রাখলেন জিদান

  23-06-2017 09:44PM

পিএনএস, ক্রীড়া ডেস্ক : জিনেদিন ইয়াজিদ জিদান। যিনি 'জিজু' নামেও পরিচিত ছিলেন। ফরাসি সমর্থকদের কাছে 'জিজু' শব্দের অর্থ ঈশ্বরের সমতুল্য। আর হবেই না কেন! ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিলকে একার কৃতিত্বেই হারিয়ে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ এনে দেন। দীর্ঘ ৬৮ বছরের অপেক্ষার পর বিশ্বজয়ের স্বাদ পায় 'লেজ ব্লুজ'। শুক্রবার সেই 'জিজু' পা দিলেন ৪৫ বছরে।

জিদান শুধু ফ্রান্সের বাসিন্দাই নন! তিনি এক আলজিরিয়ানও। ২৩ জুন ১৯৭২ দক্ষিণ ফ্রান্সের মার্সেই-এর লা ক্যাস্টেলানে জন্ম। বিখ্যাত ফুটবলারের মতোই রাস্তাতেই ফুটবল শেখেন জিজু। দশ বছর বয়সে ইউএস সেইন্ট ক্লাবে যোগ দেন। খুব দ্রুতই তার স্কিল বিশেষজ্ঞদের মুগ্ধ করে। সেই সময় মার্সেই ক্লাবে খেলতেন উরুগুয়ের বিখ্যাত তারকা এনজো ফ্রান্সিসকোলি। তার খেলার স্টাইলে দারুণ মুগ্ধ হন জিদান।

ফ্রান্সিসকোলিকে আইডল করেই বেড়ে ওঠেন তিনি। ১৯৮৯ কানস ক্লাবে যোগ দেন তিনি। সেখানে তিন বছর কাটানোর পর ১৯৯২ বোর্দোতে যোগ দেন। প্রাথমিক সাফল্যের পর ইতালিয়ান 'জায়ান্ট' জুভেন্তাসে সই করেন জিজু। জুভেন্তাসকে দুটি শিরপো জেতান তিনি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার জন্য ২০০১ রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন। ২০০২ ফাইনালে বেয়ার লেভারকুসেনের বিরুদ্ধে করা বাঁ-পায়ের ভলি ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেয়। জাতীয় দলের হয়ে তার অভিষেক হয় ১৯৯৪। প্রথমে আলজিরিয়ার হয়েই খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে দেশের কোচের মতে সে’রকম 'ফাস্ট' নন জিদান। তাই বাধ্য হয়েই ফ্রান্সের হয়ে খেলেন। প্রথম ম্যাচেই দুই গোল করে 'লেজ ব্লুজ'দের হার বাঁচান তিনি। তারপর এরিক কাঁতোনা অবসরে জিদানই হয়ে ওঠেন দলের প্রধান তারকা।

১৯৯৮ বিশ্বকাপ ও ২০০০ ইউরো চ্যাম্পিয়নে অবদান। ১৯৯৮ ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে জাতীয় হিরো বনে যান জিজু। ১৯৯৮, ২০০০, ২০০৩ ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার হন তিনি। এসব কৃতিত্বের মাঝেই জিদানের একটা বাজে দিক হলো তার বদ মেজাজ। যা তাকে মাঝে মধ্যেই বিপদে ফেলেছে।

২০০৬ বিশ্বকাপ ফাইনাল। অতিরিক্ত সময়ে মাতেরাজ্জিকে মারা গুঁতো 'কুখ্যাত' হয়ে যায়। আসলে জাতি বৈষম্য নিয়ে মন্তব্য করলেই চটে যেতেন তিনি। ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন এক দশক আগেই। তারপর থেকেই কোচিং এর সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। ২০১৬ রিয়ালের কোচ হন তিনি। কোচ হয়ে মাদ্রিদের ক্লাবকে অভূতপূর্ব সাফল্য দিয়েছেন তিনি।

পিএনএস/ আ /ফ /ম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন