ভবিষ্যতের ‌‌‌মাশরাফির খোঁজে এসেছেন তিনি

  17-08-2017 08:49PM

পিএনএস ডেস্ক : বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি ম্যাচ চলছে তখন। সীমানাদড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছাত্রদের প্রস্তুতি দেখছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, কোর্টনি ওয়ালশ ও মারিও ভিল্লাভারায়ন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিলেন আরেক শ্রীলঙ্কান চম্পকা রমানায়েক।

বেলা ১১টায় ঢাকায় এসেছেন চম্পকা। দুপুরেই চলে এলেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশে তাঁর দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরুতেই পরিচিত হলেন বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফের সঙ্গে। না, এবার জাতীয় দলের বোলিং কোচের দায়িত্বে নয়, চম্পকা বাংলাদেশে এসেছেন বিসিবির হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দলের বোলিং কোচ হিসেবে।

একসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একাডেমির পেস বোলিং কোচ ছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত পালন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্বও। তখনই বাংলাদেশ দল পেয়েছিল রুবেল হোসেন-শফিউল ইসলামের মতো প্রতিভাবান কিছু পেসার।

বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণকে আরও শক্তিশালী করতে পাইপলাইন আরও সমৃদ্ধ থাকতে হবে—এ ভাবনাতেই চম্পকাকে এইচপি বোলারদের দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। শ্রীলঙ্কার সাবেক এই পেসার তাই জানালেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান পেসারদের খুঁজে তাঁদের জাতীয় দলের জন্য তৈরি করাই হবে তাঁর কাজ, ‘(আগেরবারের তুলনায়) পার্থক্য বলতে, অনেক তরুণ আছে যাদের অনেককে আগে দেখিনি। তাদের ভালোভাবে চিনতে হবে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঁচা প্রতিভা খুঁজে বের করতে হবে। এই দেশে ক্রিকেট এখন প্রধান খেলা। তাই অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় থাকবে। আমি সেই প্রতিভাবানদের খুঁজে বের করার অপেক্ষায়।’

ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পেসারদের সাফল্য দেখা গেলেও টেস্টে এখনো পেসারদের পারফরম্যান্স বলার মতো নয়। টেস্টে বাংলাদেশের বোলিং সাফল্য যে অনেকটাই স্পিননির্ভর, সেটি গত চার বছরের পরিসংখ্যান দেখলে স্পষ্ট হবে। এই সময়ে ৭৭ শতাংশ উইকেটই এনে দিয়েছেন স্পিনাররা। গত তিন বছরে মোস্তাফিজ-তাসকিনদের মতো প্রতিভাবান পেসার এসেছেন ঠিকই কিন্তু ক্রিকেটের বড় দৈর্ঘ্যে সাফল্য পেতে এখনো বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হয় স্পিনারদের দিকেই।

গত কিছু দিনে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও বাংলাদেশের পেসারদের সাফল্য বলার মতো নয়। বিশেষ করে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংলিশ কন্ডিশনে বাংলাদেশের পেসারদের বিবর্ণ পারফরম্যান্স ভাবিয়ে তুলেছে বিসিবিকে। ২০১৯ বিশ্বকাপ সামনে রেখে পেস আক্রমণ আরও শক্তিশালী করতে চায় বাংলাদেশ। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ তো আছেনই। পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চম্পকাকে আনা সে কারণেই। শ্রীলঙ্কার সাবেক এই বোলিং কোচ অবশ্য জাতীয় দলের পেসারদেরও সাহায্য করবেন। আপাতত তাঁর চুক্তি ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন