এক টাকাও বাড়েনি আশরাফুলের পারিশ্রমিক

  18-02-2019 07:59PM

পিএনএস ডেস্ক : ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফট হয়ে গেল আজ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী এই লিগের নিলামে ১২টি ক্লাব দল গড়তে খরচ করেছে মোট ১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যোগ করতে হবে ধরে রাখা খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকও। সে হিসাবে মোট ২৩ কোটি টাকা। একজন বিদেশি খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর সুযোগ থাকায় অঙ্কটা আরও বাড়বে।

খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মাহমুদউল্লাহ। দুজনই পাচ্ছেন ৩৫ লাখ টাকা করে। আবাহনী মাশরাফিকে ধরে রেখেছে আর ড্রাফট থেকে মাহমুদউল্লাহকে নিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ‘প্লেয়ার্স ড্রাফট’ থেকে দল গড়তে ক্লাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে শেখ জামাল—২ কোটি ২১ লাখ টাকা। ২ কোটির ওপর খরচ করেছে আবাহনী, প্রাইম ব্যাংক এবং মোহামেডানও। মোহামেডান এবার বেশ আঁটঘাট বেঁধেই নামছে। লিটন দাস, আবদুল মজিদ, শফিউল ইসলামের মতো ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো খেলা ক্রিকেটারদের সঙ্গে তারা দলে ভিড়িয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলকেও।

গত প্রিমিয়ার লিগে পাঁচ সেঞ্চুরি করা আশরাফুলের অবশ্য পারিশ্রমিকের অঙ্ক ১ টাকাও বাড়েনি। গতবার তিনি কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে খেলেছিলেন ১৫ লাখ টাকায় (সেটা পেতে অবশ্য তাঁর ঘাম ছুটে গিয়েছিল!) এবারও সেই একই পারিশ্রমিকে খেলবেন মোহামেডানে। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম অবশ্য বলছিলেন, গতবারের তুলনায় এবার কিছু খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক বাড়ানো হয়েছে। সেটিই যদি হয়, তবে পাঁচ সেঞ্চুরি করা আশরাফুলের পারিশ্রমিক কেন বাড়েনি? কাজী ইনামের ব্যাখ্যা, ‘খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বা পারফরম্যান্স ভালো হলেও সেটি দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল কি না, এসব বিবেচনা করেই পারিশ্রমিক ঠিক করা হয়েছে।’

আশরাফুল যে পাঁচটা সেঞ্চুরি করেছিলেন, এর চারটিই বৃথা গেছে। তাঁর দল কলাবাগান হেরেছে চার ম্যাচেই। সেঞ্চুরিগুলো শুধু আশরাফুলের পরিসংখ্যান উজ্জ্বল করেছে কিন্তু দলকে খুব উপকৃত করেনি, এটা নিয়ে তাঁর নিজেরও হতাশা আছে। তবুও আশরাফুলের পারিশ্রমিক বলার মতোই, কিন্তু দেশের ঐতিহ্যবাহী লিগে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পাওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সাড়ে ৩ লাখ টাকায় উদীয়মান, প্রচারের আলোয় না আসা এমন ৮৬ জন খেলোয়াড় আছেন ‘ডি’ শ্রেণিতে। যাঁদের অল্প কজনই সুযোগ পাবেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে। পারিশ্রমিক যত কমই হোক, তাঁদের অনেকেই নাকি সিসিডিএমকে অনুরোধ করেছেন টাকার অঙ্ক বড় ব্যাপার নয়, লিগ খেলার সুযোগ যেন অন্তত পান।

পারিশ্রমিক যেটাই হোক, খেলোয়াড়েরা যেন সেটি যথাসময়ে পান, এটিই চাওয়া সিসিডিএমের। আগেরবারের মতো এবারও যদি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে গড়িমসি করে কোনো ক্লাব, তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন কাজী ইনাম, ‘একটা ব্যাপারে নিশ্চিত করতে চাই, খেলোয়াড়েরা যেন ভালো পারিশ্রমিক পায়।

সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বছর যেন সব ক্লাব পারিশ্রমিক ঠিকভাবে দেয়। এবার আমরা নতুন একটা ধারা যোগ করেছি, কোনো ক্লাব যদি পারিশ্রমিক দিতে অনিয়ম করে, তবে সিসিডিএম ওই ক্লাবের পয়েন্ট কাটতে পারবে কিংবা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে তাদের নিষিদ্ধ করতে পারবে। দু-একটি ক্লাবের কারণে বাকিদের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে আমরা সতর্ক থাকব।’

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন