বাংলাদেশের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট ক্যারিবীয় পর্যবেক্ষক দল

  02-12-2020 11:38PM

পিএনএস ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট ক্যারিবীয় পর্যবেক্ষক দল। বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানান তারা। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামও পরিদর্শন করেছে ক্যারিবীয় পর্যবেক্ষক দল। জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের। তবে সফরের আগে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও প্রস্তুতি দেখার জন্য দু’জন পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে ক্যারিবীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাদের একজন ড. অক্ষয় মানসিং, যিনি ক্রিকেট উইন্ডিজের মেডিক্যাল প্যানেলের সদস্য ও বোর্ড পরিচালক। অপরজন বোর্ডের নিরাপত্তা ম্যানেজার পল স্নোয়ি।

অক্ষয় মানসিং বলেন, ‘আমাকে বলতে হবে যে, বিসিবি আমাদেরকে প্রোটোকলসমূহের যে বর্ণনা দিয়েছে, সেগুলো অত্যন্ত গভীর চিন্তার পরিচয় দেয়। এবং যেহেতু আমাদের আসার আগে তাদের তিনটি টুর্নামেন্ট হয়েছে এবং একটি হচ্ছে, সুতরাং তারা অভ্যস্ত।

ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আমরা যা দেখেছি তা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এখানে সুযোগ-সুবিধা দারুণ, কোভিড প্রোটোকল অত্যন্ত স্পষ্ট এবং নিখুঁত। যে হাসপাতাল এবং হোটেলগুলোয় আমরা গিয়েছি, সেগুলোর আচরণ ও কাজ কোভিড-১৯ এর জন্য সুপারিশ করা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং, স্বাস্থ্যগত দিক থেকে আমরা খুবই খুশি। এখন আমাদেরকে আমাদের পর্যবেক্ষণগুলো ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোর্ড অফ ডাইরেক্টরসের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা যা দেখেছি, তা বিশ্বের যেকোন জায়গার আয়োজনের চেয়ে কম নয়। এখন পর্যন্ত আমরা খুবই খুশি।’

বাংলাদেশে উইন্ডিজ দলের সম্ভাব্য কোয়ারেন্টিন ও সূচি নিয়ে অক্ষয় মানসিং বলেন, ‘তারিখ এখনও নির্দিষ্ট নয় সেই কারণেই (কোয়ারেন্টিন)। কারণ কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী, কমপক্ষে সাত দিন কোয়ারেন্টিন করতে হবে। কারণ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা যেন বাংলাদেশকে আক্রান্ত না করি। সুতরাং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা কোয়ারেন্টিনে থাকি। স্রেফ দিন নয়, তিনটি নেগেটিভ টেস্ট ফল আসতে হবে। বাংলাদেশে আসার আগে একটি নেগেটিভ টেস্ট হতে হবে। এবং সেজন্যই একদম নিশ্চিত তারিখ বলা যাচ্ছে না।’

ক্যারিবীয় পর্যবেক্ষক মানসিং বলেন, ‘প্রথম তিন দিনের জন্য আমরা ইন-রুম কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দেবো। প্রথম কোভিড টেস্টটি হবে পৌঁছানোর পর। তিন দিন পর আমরা আরেকবার টেস্ট করাবো । সেটিতে নেগেটিভ আসলে আমরা আমাদের স্কোয়াডের ভেতর প্র্যাকটিস করতে চাই, কিন্তু সাত দিন পার হবার আগে বাইরের কারো সামনে আসতে চাই না। আমরা ইন্ট্রা-স্কোয়াড প্র্যাকটিস করবো ততদিন, সাত দিন পর আমরা বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে নেট সেশন করতে পারবো।’

আরেক পর্যবেক্ষক পল স্নোয়ি বলেন, ‘আমার প্রাথমিক কাজ ছিল আগামী জানুয়ারিতে প্রস্তাবিত সিরিজটির নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা। এটি বলতে আমি খুশি যে, আমি যা দেখেছি, সেখানে আমাদের কাছে উপস্থাপন করা নিরাপত্তা পরিকল্পনা এবং প্রোটোকলগুলো খুবই সন্তোষজনক। আমার সন্দেহ নেই যে সেই পরিকল্পনাগুলো যদি যেভাবে লেখা হয়েছে এবং আলোচনা করা হয়েছে সেভাবে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে কোন ধরনের অপ্রিয় ঘটনা ঘটবে না। আমি পুরো আয়োজনের ওপর অত্যন্ত খুশি, এয়ারপোর্ট, হোটেল, প্র্যাকটিস ভেন্যু থেকে ম্যাচের ভেন্যু সবকিছু নিয়ে।’

স্নোয়ি বলেন, ‘আমি এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে এসেছিলাম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য। এবং আমি বিশ্বাস করি যে বিসিবির সেই সক্ষমতা আছে একটি আন্তর্জাতিক সিরিজের জন্য প্রয়োজনমাফিক আয়োজন করার। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের কাছে আমাদের রিপোর্ট পেশ করবো। সফর নিশ্চিত হলে আমি আরেকবার বাংলাদেশে আসবো প্রোটোকলগুলো মানা হচ্ছে কি না সেটি যাচাই করতে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেন ‘আমি যতটুকু বলতে পারি তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট আমাদের ব্যবস্থাপনায়। তারা হাসপাতাল, হোটেল, ভেন্যু- সবই দেখেছেন। লিভিং কন্ডিশন কেমন হবে, সিকিউরিটি কেমন হবে, সিকিউরিটি সাইডেও ব্রিফ করেছেন। তো এখন কথা হচ্ছে, আসার ব্যাপারে এপ্রুভাল দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড। সেজন্য তাদের পর্যবেক্ষক দল গিয়ে রিপোর্ট করবেন।

জালাল ইউনুস জানান, আগামী ১০ই জানুয়ারি বাংলাদেশে পৌঁছতে পারে উইন্ডিজ দল। বেশি দেরি হলে জানুয়ারির মাঝামাঝি।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন