পাইকগাছায় গৃহবধূর সালমার রহস্যজনক মৃত্যু

  21-10-2016 03:47PM

পিএনএস,পাইকগাছা (খুলনা):খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাজীমুছা গ্রামের গৃহবধূ সালমা বেগম আত্নহত্যা করেছিল নাকি হত্যা করা হয়েছে ? এমনই প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর মনে ঘুর পাক খাচ্ছে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে দু’পরিবারের মধ্যে মোটা অংকের রফার বিনিময়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো হত্যা মামলা দায়ের হয়নি।

এলাকাবাসী জানায়, শুধুমাত্র সন্দেহবশত গত প্রায় ৩ বছর যাবৎ নিহতের স্বামী মোঃ রোকনুজ্জামান কাগজী তাকে বিভিন্ন সময় ব্যাপক শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করত। এমনকি সে রাতে কোথাও গেলে স্ত্রী সালমাকে ঘরের বাইরের গ্রীলে তালা দিয়ে রেখে যেত। রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সালমাকে ঘরের মধ্যে রাখা বালতির সাহায্য নিতে হত।

এলাকাবাসী সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন। নিহতের একমাত্র ছেলে সাইফুল্লা (৮) জানায়, প্রতি রাতের ন্যায় ঘটনার রাতেও তার পিতা রাতের খাবার খেয়ে চিংড়ি ঘেরে চলে যায়। তবে পরে আর সে ঐ রাতে বাড়িতে আসে কিনা তা সে জানে না। প্রসঙ্গত, বুধবার (১৯ অক্টোবার) সকালে উপজেলার কপিলমুনির কাজীমুছা গ্রামের মোঃ রোকনুজ্জামান কাগজীর বাড়ি থেকে তার স্ত্রী সালমা বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিক নিহতের পিত্রালয় থেকে আসা তার ভাই আঃ রশিদ সহ অন্যান্যরা অভিযোগ করেছিলেন রোকন তার বোন সালমাকে হত্যা করে গলায় ওড়না পেচিয়ে লাশ ঘরের আঁড়ায় ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উদ্ধারের সময় লাশের পা খাটের উপর ভাজ করা ছিল। এছাড়া তার মুখ দিয়ে গেঁজা বেরুচ্ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ ঐ দিনই তার মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুমেক পাঠায়। এদিকে ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবার) নিহতের লাশ স্বামীর বাড়িতে না নিয়ে তার পিত্রালয় সাতক্ষিরার তালা উপজেলার মহান্দী গ্রামে দাফন করা হয়। এতে এলাকাবাসীর সন্দেহ আরো ঘণিভূত হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, সঠিক পুলিশি তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসতে পারে। এবিষয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ মোঃ বরকত হোসেন বলেন, নিহতের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ঠিক বলা যাচ্ছেনা সে আত্নহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে।




পিএনএস/বাকিবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন