কাহারোল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ অফিসারদের বসবাস

  17-01-2017 04:49PM

পিএনএস, কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : কাহারোল থানার পুলিশ অফিসারদের কোয়াটার গুলো দীর্ঘদিন ধরে কোন সংস্কার না হওয়ায় এসব আবাসিক কোয়াটার গুলো জরাজীর্ণ ও বাস অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। এসব দেখে মনে হচ্ছে আবাসিক কোয়াটার গুলো সংস্কার করার কেউ নেই। এর ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত থানায় কর্মরত অফিসারদের।

দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানার পুলিশ অফিসারদের পরিবার-পরিজন নিয়ে কোয়াটার গুলোতে বসবাস করার কথা থাকলেও এসব কোয়াটার গুলো জরাজীর্ণ ও ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় অফিসাররা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে কোয়াটার গুলোতে বসবাস করতে না পেরে থানার বাহিরে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ভাড়া করে চাকুরী করতে হয় এই থানায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাহারোল থানার অফিস কার্যালয়টি নতুন আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হলেও পুলিশ অফিসারদের বসবাস করার আবাসিক কোয়াটার গুলো এখন সবে মাত্র পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। এসব আবাসিক জরাজীর্ণ আবাসিক কোয়াটার গুলো কবে নাগাত নির্মান করা হয়েছে, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ স্বাধীনতার ৪৫ বছর অতিবাহিত হলেও এই আবাসিক কোয়াটার গুলো কোন প্রকার সংস্কার বা মেরামত করা হয়নি অদ্যাবধি। আবাসিক কোয়াটার গুলো সংস্কার না করায় এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

একটি সূত্র জানায়, কৃর্তপক্ষ এই আবাসিক কোয়াটার গুলো বেশ কয়েক বছর পূর্বেই পরিদর্শন করে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করলেও এখন পর্যন্ত কোন নতুন আবাসিক কোয়াটার নির্মান করেনি। এদিকে কাহারোল থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ মনসুর আলী সরকার জানান, বর্তমানে এই থানায় একজন ওসি ৮ জন উপ-পুলিশ পরিদর্শক ৯ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও ১৭ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন, তাদের কারো থানা ক্যাম্পাসের মধ্যে বসবাস করার কোন আবাসিক কোয়াটার নেই। ফলে তারা সকলে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে। তিনি আরও জানান, অনেকেই পরিত্যাক্ত আবাসিক কোয়াটার গুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজে একাই বসবাস করছেন।

কাহারোল থানার কয়েক জন উপ-পুলিশ পরিদর্শক পরিবার-পরিজন নিয়ে থানা ক্যাম্পাসের বাহিরে বাসা-বাড়ি ভাড়া করে বসবাস করছেন। ওসি আরও জানিয়েছেন, এই থানাটি অতি প্রাচীন উচিৎপুর মৌজায় ২ দশমিক ২০ একর জমির উপর অবস্থিত। থানাটির প্রধান কার্যালয় ছাড়াও আবাসিক ভবনের জন্য অনেক জায়গা আছে, এখানে থানার অফিসারদের জন্য বসবাসের আবাসিক কোয়াটার নির্মান করা হলে, এখানে অফিসাররা সুবিধা সহ সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। এই ব্যাপারে সুধীজন গণপুত বিভাগের কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন