সীতাকুণ্ডে পাহাড় কেটে চলছে বসতি নির্মাণ

  18-01-2017 12:16PM



পিএনএস, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : সীতাকুণ্ডে পাহাড় কেটে বসতি নিমার্ণের ধুম পড়েছে। প্রভাবশালীমহল বনভূমির জায়গা দখল করে বসতি স্থাপনা গড়ে তোললেও নিরব ভূমিকায় বন বিভাগ। তবে বাৎসরিক খাজনায় ম্যানেজ হওয়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দূরে সরে থাকেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের অধীনে সীতাকুণ্ড ও বারৈয়ারঢালা রেঞ্জে কয়েক হাজার একর জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এসব বন রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছে বীট ও রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ কর্মরত রয়েছে কয়েক’শ কর্মকর্তা-কর্মচারী। কিন্তু বন রক্ষায় নিয়মমাপিক বন কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তাসহ কর্মচারীরা খাতা-কলমে নিয়োজিত থাকলেও সময় পার করেন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে। আর এ সুযোগে সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলো ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে বনখেকো দখলদারদের বিচরন ভূমিতে। এছাড়া রক্ষনা-বেক্ষনের অভাবে বনখেকোরা একদিকে যেমন নেমেছে উজাড়ে, অন্যদিকে বনকর্তাদের সুগ-সাজশে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বানিজ্য নেমেছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক ও কুমিরা এলাকায় বনবিভাগের জায়গা দখল করে পাহাড় কেটে গড়ে উঠছে অসংখ্য ঘর-বাড়ি। সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার ধুম। কিছু দখলদাররা বনের জায়গা দখলে করে বিভিন্ন আকৃতির কাচা ও আধাপাকা তৈরী করে চালাচ্ছে ভাড়া-বানিজ্য। কোনো প্রকার আইন কানুন না মেনে একের পর এক পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি গড়ে উঠায় চরম ঝুকিপুর্ণ হয়ে উঠেছে উচু-নিচু টিলাগুলো। এছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে প্রতিনিয়ত ঘর নির্মাণের ফলে বর্ষায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা ওহিদুল আলম বলেন,‘ বনবিভাগের যোগসাজশে যেহারে পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি তৈরী হচ্ছে তাতে যে কোনো সময় বড় ধরনের বিপদ দেখা দিতে পারে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত ঘর-বাড়ি নির্মাণের ফলে বনশূন্য হয়ে পড়ছে পাহাড়গুলো। এ পরিস্থিতিতে জলবায়ুতে মারাত্মক পরিবর্তন দেখা দেয়ার আশংকা তৈরী করছে বলে জানান তিনি। অথচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বনবিভাগের জায়গায় ঘর-বাড়ি গড়ে উঠলেও আইন ব্যবস্থা গ্রহনে গড়ি-মসি স্থানীয় বনবিভাগের। তবে বনবিভাগের সাথে দেনদরবার করে পাহাড় কেটে ঘর-বাড়ি নির্মাণ অভিযোগ এলাকাসীর।’

এ বিষয়ে বারৈয়ারঢালা ও কুমিরা রেঞ্জের বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, সংরক্ষিত বন রক্ষায় পর্যাপ্ত জনবল ও বরাদ্ধ না থাকায় বনবিভাগের অসংখ্য জায়গা খালি পড়ে রয়েছে। আর এসব জায়গা কিছু লোক দখল করে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে বলে জানান তিনি।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন