স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষক লাঞ্চিত

  27-03-2017 04:04PM

পিএনএস, ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগকে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক প্রতিষ্ঠিত সাতুরিয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার জেরে ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক আকনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলে তালা লাগিয়ে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জণ করে সোমবার সকালে স্কুলের সামনের সাতুরিয়া এলাকার বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘণ্টাব্যাপি অবরোধ করে অভিযুক্ত আ’লীগ নেতা হুমায়ুন কবিরের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তুলে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়। অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির ওই স্কুলের ম্যানের্জি কমিটির বিদ্যাউৎসাহী সদস্য ও যুদ্ধাপরাধী মৃত আঃ ছত্তার হাওলাদারের ছেলে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সোবাহান খানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন আ’লীগের একটি অংশ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পালনের জন্য সাতুরিয়া এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি নেয়। কিন্তু সাতুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের মধ্যে কয়েকটি গ্রুপিং বিদ্যমান থানায় ওই মাঠ ব্যবহারে অনুমতি দেয়ার জেরে ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রোববার দুপুর থেকেই স্কুলের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের মধ্যেই কয়েক দফায় প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক আকনের বিরুদ্ধে চড়াও হয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক আকন অভিযোগ করে জানান, স্কুলের অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের খাবারের জন্য স্কুল সংলগ্ন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান ওবায়েদ মিয়ার বাসায় যাওয়ার পথিমধ্যে একই বিষয় নিয়ে বাকবিতদন্ডর এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক আকনকে কয়েকটি কিল-ঘুষি এবং চড় থাপ্পর মেরে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়।

এসময় উপস্থিত শিক্ষকসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেছেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান ওবায়েদ মিয়া জানান, তাৎক্ষনিক বিষয়টি শুনে তাদের দু’জনকে মিলিয়ে দেই। বর্তমানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে জরুরি মিটিং ডেকে সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ম্যানের্জি কমিটির বিদ্যাউৎসাহী সদস্য হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে শিক্ষাবোর্ড বরাবরে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে।রাজাপুর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, সড়ক অবরোধের খবর শুনে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে অবরোধ তুলে দেয়া হয় এবং ওসি ও ওসি তদন্ত স্কুলে গিয়ে সকলের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।

প্রধান শিক্ষককে শারীরিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে, অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।অভিযুক্ত সাতুরিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জানান, স্কুলের সকল বিষয়ই প্রধান শিক্ষক তার ইচ্ছে মত করেন। এসব বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে, সে বিষয়টি সভাপতি তার বাসায় বসে মিলিয়েও দিয়েছেন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন