শেরপুরে অসহায় নারীকে বেধড়ক মারপিট

  25-04-2017 09:39PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হলদিবাড়ী গ্রামে ছালেম ও তার ছেলে নাসিম রুবি নামের এক স্বামী পরিত্যাক্ত অসহায় নারীকে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে। এ ঘটনায় ওই অসহায় নারী মা জাহানারা বেগমও আহত হয়। এদিকে উক্ত ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার এক সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

এমনকি অভিযোগটি নথিভুক্তও করা হয়নি। তাই বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এই ভুক্তভোগী। গতকাল মঙ্গলবার (২৫এপ্রিল) দুপুরে অসহায় রুবি বিচার না পেয়ে থানার সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারে বসে কান্নাকাটি করছিলেন। এই খবর পেয়ে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সেখানে উপস্থিত হন এবং ওই অসহায় নারীর সঙ্গে কথা বলেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী গ্রামের মৃত কেতাব আলীর স্বামী পরিত্যাক্ত অসহায় মেয়ে রুবি খাতুনের সঙ্গে গত ১৭এপ্রিল একই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে ছালেম মিয়ার চলাচলের রাস্তায় মলমূত্র ফেলা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ছালেম ও তার ছেলে নাসিম রুবির ওপর হামলে পড়ে। এমনকি বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়।

এছাড়া ধারালো অস্ত্রদিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় মেয়েকে বাঁচাতে বৃদ্ধ মা জাহানারা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। পরে উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। তবে অদ্যবধি পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ভুক্তভোগী রুবি খাতুন বলেন, ঘটনার পরপরই থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন এবং সুস্থ হলে মামলা নেয়ার কথা বলেন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ দেই। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পথ খরচ দিতে না পারার অজুহাত দেখিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলেও যায়নি। আমি অসহায় গরিব মানুষ। তাই মনে হয় আমার বিচার হবে না।

তাছাড়া পুলিশের ভূমিকায় মনে হয় প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বখশিস পেয়েছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করতে উপ-পরিদর্শক আব্দুল মজিদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে কেন তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি তা তার বোধগম্য নয়।

বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন। এদিকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল মজিদ বলেন, হাতে অনেক কাজ। তাই অভিযোগটি তদন্ত করতে যেতে পারিনি। তবে আজ-কালের মধ্যেই ঘটনাস্থলে যাব। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছালেমের বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন