লক্ষ্মীপুরের সেই ত্রাস কারামুক্ত

  22-10-2017 11:50PM



পিএনএস ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরের আলোচিত আবদুল জব্বার লাভু কারামুক্ত হয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর তিনি রোববার দুপুরে গাজীপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন।

ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লাভু ও তার সহযোগীদের নৈরাজ্যে এক সময় সন্ত্রাস আর খুনাখুনির জনপদ হিসেবে পরিচিতি পায় লক্ষ্মীপুর।

লাভু লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের বড় ছেলে কারাবন্দি এইচএম বিপ্লবের বন্ধু এবং লক্ষ্মীপুরের ত্রাস হিসেবে পরিচিত।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিবির নেতা মহসিন হত্যা মামলায় লাভুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর তিনি ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

পরে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান তার ২০ বছর সাজা কমিয়ে দেয়। এছাড়া লাভু জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নুরুল ইসলাম হত্যাসহ অন্য মামলায় উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পান।

গতকাল সন্ধ্যায় লাভুর ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছে, লাভু সকলের সহযোগিতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। কয়েকদিন ঢাকায় অবস্থান করার পর তিনি সৌদিআরবে ওমরাহ করতে যাবেন।

লক্ষ্মীপুর কারাগার সূত্র জানায়, চলতি বছরের গত ৫ এপ্রিল ভোরে আবদুল জব্বার লাভুকে (কয়েদি নম্বর ৩২৮০/এ) লক্ষ্মীপুর কারাগার থেকে হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তরিত করা হয়।

কারাগারের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের বেআইনি কাজ ও বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরির অপ-প্রয়াসে লিপ্ত থাকায় বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়।

একই সময় মেয়র তাহেরের ছেলে যুবলীগ নেতা এইচএম বিপ্লবকে (কয়েদি নম্বর ২০০৯/এ) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল আজিম বাবরকে (কয়েদি নম্বর ৩৩১৩/এ) কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ পাঠানো হয়। বিপ্লব একটি আলোচিত হত্যা মামলায় ফাঁসির আদেশ থেকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছিলেন। বর্তমানে বিপ্লবের প্রায় ২ এবং বাবরের ৩ বছর সাজাভোগ বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন