ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার এএসআই ও কনস্টেবল বরখাস্ত

  23-11-2017 11:37AM


পিএনএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে জাকির হোসেন ভূইয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে সদর মডেল থানার এএসআই রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল শরীফুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ব্যবাসয়ীকে অপরহণ করে মুক্তপণ আদায়ের অভিযোগে গত সোমবার রাতে এএসআই রফিকুল ও কনস্টেবল শরীফুলকে এবং মঙ্গলবার সকালে আঁখি নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে অপহৃত ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ভূইয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সদর মডেল থানা পুলিশের এএসআই রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল শরীফুল ইসলাম এবং সদর উপজেলার বেতবাড়িয়ার আল আমিনের স্ত্রী আঁখি আক্তার। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার বরাত দিয়ে ওসি নবীর বলেন, সোমবার দুপুরে শহরের মসজিদ রোড পূবালী ব্যাংকের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। এ সময় আঁখি অসুস্থতার ভান করে তার গায়ে ধাক্কা দিয়ে তাকে রিকশায় উঠিয়ে দিতে বলেন। রিকশায় উঠিয়ে দিলে আঁখি তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

মানবিক কারণে জাকির তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে রাজি হন। পরে আঁখির কথামত তার বাড়িতে প্রবেশ করলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা এএসআই রফিকুল ও কনস্টেবল শরীফুল তার চোখ বেঁধে হত্যার হুমকি দেন।

এ সময় তারা জাকিরের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করে এবং সেই টাকা বিকাশের মাধ্যমে এনে দিতে বলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এর পর জাকির আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে এএসআই রফিকুল ও কনস্টেবল শরীফুলের কথা মতো কয়েকটি বিকাশ নম্বরে ৮৩ হাজার টাকা এনে দেন।

আরও টাকার জন্য জাকির আরেক আত্মীয়কে ফোন দিয়ে বিকাশ নম্বর দিলে ওই আত্মীয় বিষয়টি মডেল থানার ওসিকে জানান। পরে প্রযুক্তির ব্যবহার করে জানা যায় বিকাশ নম্বরটি শহরের মধ্যপাড়া এলাকার ‘মা জেনারেল স্টোর অ্যান্ড টেলিকমের।

বিষয়টি অপহরণকারীরা জানতে পেরে জাকিরকে মারধর করে অটোরিকশায় তুলে শহরের পুনিয়াউট এলাকায় ফেলে দিয়ে যায়। এরপর জাকির থানায় এসে পুরো ঘটনা জানালে রাতেই এএসআই রফিকুল ও কনস্টেবল শরীফুলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি। আর মঙ্গলবার সকালে আঁখিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে ছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন