চিরিরবন্দরে অচল পা কেটে বাচঁতে চায় প্রতিবন্ধীরবিন্দ্র

  13-01-2018 02:48PM

পিএনএস, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বাকপ্রতিবন্ধীরবিন্দ্র রায় (৫০)অচল পা কেটে বাকি জীবন বাচঁতে চায়।উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের ছতিশ মাষ্টার পাড়া গ্রামের মৃত হরপতি রায়ের পূত্র রবিন্দ্র রায় জন্ম থেকেই বাক প্রতিবন্ধী।প্রতিবন্ধী হলেও ফুটবল খেলা থেকে শুরু করে সকল ধরনের খেলাধুলায় পারদর্শী ছিলেন রবিন্দ্র। লেখাপড়া না করায় সাত বছর বয়স থেকেই করতো কৃষি কাজ। বিভিন্ন জায়গায় ক্ষেতখামার ও মানুষের বাড়িতে কাজ করে ভালোই দিন যাচ্ছিলো তার।

১৯৯৮ সালে বিয়ে করে সে।বিয়ে করে প্রথমেদুই ছেলে সন্তানের জনক হলেও জন্মগত কারনেই দুই ছেলেই মারা যায়। দুই ছেলের মৃত্যুর কষ্ট নিয়েই আবারো জীবন চলতে থাকে তার। কিন্তু ভাগ্যর কি নিমর্ম পরিহাস২০০৮ সালে হঠাৎতে একদিন কৃষি কাজে যাওয়ার পথে সড়ক দূঘর্টনায় তার বাম পা থেতলে যায়। দূঘর্টনার পরবাড়িতে অচল হয়ে পরে ছিলো বছর খানেক।এরই মধ্যে চিকিৎসার কাজে তার গচ্ছিত টাকা খরচ হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় ডাক্টার দেখিয়েও হয়নি কোন লাভ। অচল পা নিয়ে সংসারে দেখা দেয় অভাব-অনটন। অভাব-অনটনের সংসারে অচল স্বামীর দিকে তাকিয়ে স্ত্রী জোসনাও মানুষের বাড়িতে কাজ করে অর্থ উর্পাজন করা শুরু করে। কিন্তু তা দিয়েও হয় না। বেঁচে তাকার তাগিতে রবিন্দ্র রায় অচল পা নিয়ে শুরু করে ভিক্ষা বৃত্তি। দশ বছর যাবত ভিক্ষা করেই চলছে তার জীবনযাপন।

৬ মাস হয়েছে রবিন্দ্র আবারো ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে অচল পা নিয়ে ভিক্ষা করেও মুসকিল হয়ে গেছে তার। ভিক্ষা করেই ছেলেকে মানুষ করার চিন্তা থাকলেও বর্তমানে তাও পারছে না রবিন্দ্র। ডাক্টারপা কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। পা না কাটলে ধীরে ধীরে পুরো শরীরঅচল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। নিচে থেকে পা ফুলে ব্যাপক হারে ওজন বৃদ্ধি হচ্ছে। যা বহন করে ভিক্ষা করা ভীষন কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েচ্ছে তার। অকেজো পা কে ঝামেলা মনে করে দূর্বিসহ দিন কাটাচ্ছে রবিন্দ্র। টাকার অভাবে কাটতে পারছে নাঅচল পা।

স্থানীয় রণজিত কুমার রায় বলেন, ১০-১১ বছর আগে কৃষি কাজ করেই ভালোই দিন যাচ্ছিলো রবিন্দ্র রায়ের। আর্থিক অবস্থা ভালোই ছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ তাকে ভিক্ষা করতে হচ্ছে। বাক-প্রতিবন্ধী হয়েও আবার পা টাকে হারিয়েছে রবিন্দ্র । দেখে আমাদের খারাপ লাগে কিন্তু কি করব বলুন।

বাক-প্রতিবন্ধী রবিন্দ্র রায় ইশিরায় সাংবাদিকদের জানান, আমি কঠিন রোগে ভুগছি। রোগের চিকিৎসা করাতে আমার সব কিছুই শেষ হয়ে গেছে। এখন সম্বলহীন। বাড়িতে ছোট একটা ছেলে আর স্ত্রী রয়েছে। তাদের মুখে দুবেলা খাবার দিতে পারিনা। কোনো কাজও করতে পারি না।

১০ বছর যাবত ভিক্ষা করে সংসার চললেও কিন্তু এখন শেষ পর্যন্ত ভিক্ষা করেও আর শান্তি পাচ্ছি না।অচল পায়ের ভারে শরীরের ওজন দিগুন হয়ে গেছে। অর্থের অভাবে অচল পা কাটতে পারছি না। আমি অচল পাকে কেটে ফেলে আরো কিছুদিন বাচঁতে চাই।রবিন্দ্র রায়ের স্ত্রীজোসনা রায়তার পা কেটে চিকিৎসার জন্য হৃদয়বান মানুষের কাছে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।সহয়তার জন্য-রেজাউল ইসলাম-০১৭২২৮০৯১৪২ ।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন