‘যারা আমাদের কষ্ঠ বুঝতে পাড়বে এবার তাকেই নির্বাচিত দেব’

  23-07-2018 05:21PM

পিএনএস, বরিশাল প্রতিনিধি : বিগত নির্বাচনগুলোর মতো এবারের নির্বাচনেও বরিশাল নগরের ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুরের মোহাম্মাপুর ধান গবেষনা সংলগ্ন উত্তর ও পশ্চিম পাশে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আ’লীগ ও বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিদিনই তাদের কাছে ছুটছেন।

তারা মোহাম্মাদপুরবাসীর মশা নিধন, জলাবদ্ধতা দূরসহ মাদক আখড়া উচ্ছেদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তবে মোহাম্মাদপুরের ভোটাররা বলছেন, প্রার্থীরা যতই মন ভোলানো প্রতিশ্রুতিই দিক না কেন। তারা এবারের নির্বাচনে সত ও যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত করতে চান। তবে কোন প্রার্থীকে মেয়র পদে ভোট দেয়ার জন্য যোগ্য মনে করছেন, সে ব্যাপারে মুখ খুলতে অনেকটাই কৌশলী ভূমিকা নিচ্ছেন মোহাম্মাদপুরের ভোটাররা। তারা বলছেন, যিনি এই এলাকার জলাবদ্ধতা, দুঃখ ও মাদক আখড়া নির্মূল করতে পারবেন তারা তাকেই ভোট নিয়ে নির্বাচিত করবেন। ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুরের মোহাম্মাদপুরে প্রায় সাড়ে ৪ শো’ দরিদ্র মানুষের বসবাস। এই এলাকায় ভোটার সংখ্যা প্রায় প্রায় ২ হাজারে মত এই এলাকায় প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতার কারনে শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দাদের যাতায়েত পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এরসঙ্গে নিত্যসঙ্গী ড্রেনের ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ। আর তারা রাতে ঘুমাতে পারেন না মশার কামড়ে। এক বাসিন্দা অশীতিপর বৃদ্ধা কহিনুর বেগম বলেন, বাবা গত ১০ বছরে আমাদের এলাকায় মশা মারার ওষুধ ছিটানো হইছে কী না তা আমার মনে পড়ে না। আর রাতে মশার কামড়ে ঘুম আসতে চায় না। রাতের বেলায় পানির কারনে চলা ফেরা বন্ধ বলেই বলা যায়। ঘর থেকেতো বের হতেই পারি না পানির কারনে। ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া বন্ধ বলেই বলা যায়। শুধু কহিনুরই নয়, তার মতো এমন অভিযোগ সকল এলাকবাসীর।

ঐ মোহাম্মাদপুর এলাকার অবস্থিত হাতেমাতুজ যোহরা রহমানিয়া ক্বেরাতুল কোরআন হাফিজি মাদ্রাসা এতিম খানা ও লিল্লাহ বোডিং’র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নুরুল ইসলাম ফিরোজী সাহেব বলেন, ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের কোরআর শিক্ষা দেওয়ার জন্য এবছর মাদ্রাসাটি খুলেছি। কিন্তু জলাবদ্ধতা কারনে রাস্তা থেকে কোন ছাত্র মাদ্রাসায় আসতে পারছেনা। তাই বন্ধ করে রেখেছি। শুধু আমার মাদ্রাসাটি নয় পাশে^ রয়েছে এলাকাসীর জন্য মসজিদ,স্কুল সেগুলোও একপর্যায় বন্ধর পথে বলা যায়। তিনি আরো বলেন,চলাচলের রাস্তা গুলো মনে হয় পুকুরের মত। পানি আসলেই হয়ে যায় নদীর মত। এই দূভোগের মধ্যে রয়েছে মোহাম্মাদপুরবাসী। ভোটার হাবিব বলেন, এখন ইলেকশন তাই প্রতিদিনই কোনো না কোনো মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী আসতেছেন। সব সমস্যা সমাধানের কথা বলতেছেন। কিন্তু কাউরেই আমরা কথা দিচ্ছি না।

যে প্রার্থী আমাদের সমস্যার সমাধান করতে পারবে, আমরা তাকেই ভোট দেব। নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমজীবী বলেন, তাদের এলাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাদক। সন্ধ্যার পর তাদের পুরো এলাকা মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। আর এসব মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে কথিত নেতা ও পুলিশের। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। যে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী মাদকমুক্ত করতে পারবেন সেই প্রার্থীকেই আমরা ভোট দেব। এবিষয় বর্তমান কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর প্রার্থী মাইনুল হককে একাধিক বার তার ব্যাবহারিত মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিফ করেনি।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন