শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

  25-09-2018 09:52AM


পিএনএস ডেস্ক: ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়কের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে পদ্মায় নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ওই প্রান্তে আটকা পড়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন। দুর্ভোগে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ।

সোমবার বিকাল থেকে ওই রুটে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি চলাচল। পরিক্ষামূলকভাবে চলছে ছোট ও কেটাইপ ফেরি কুমিল্লা, কাকলী, কেতকী ফরিদপুর ও ঢাকা নামের ৫টি ফেরি। তবে লঞ্চ ও সি-বোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আর রোরো, কেটাইপ ও ট্রাম ফেরি বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ও কাঁঠালবাড়ি প্রান্তে আটকে আছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন।

আপর দিকে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দৌলতিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে পরিবহনের চাপ সামাল দিলে এ নৌ-রুটে নিয়মিত চলাচল করছে তিনটি রোরো ফেরি ও একটি কে-টাইপ ফেরি। সেখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে ফেরি ‘ক্যামেলিয়াকে’ সে ঘাটে পাঠানো হয় এবং চাঁদপুর-হরিণা ঘাটের নৌ-রুটে পাঠানো হয় ‘করবী’। বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, বেশ কিছু দিন ধরে নৌরুটের লৌহজং টানিং পয়েন্টের মুখে একটি ডুবোচরের সৃষ্টি হয়। উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানির সঙ্গে ক্রমাগত পলি পরে ডুবোচরটি দিন দিন বড় হতে থাকে।

এতে চ্যানেলের মুখে বড় রকম একটি ডুবোচরের কারণে ফেরি চালকরা প্রায়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতো। ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকতো।

বিআইডব্লিউটিএ-কে বিষয়টি অবহিত করলে তারা চ্যানেলটি কিছুতেই চালু করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে এ রটের ড্রাম ও রোরো ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সাড়ে পাঁচ ফিট ড্রাফের বেশি লোড নেয়া হচ্ছে না। ফেরিগুলোতে তাই এ রটে চলাচলে ভাড়ি যানবাহন, পণ্যবাহী ট্রাক ও পরিহনগুলোকে অন্য বা বিকল্প পথে যাতায়াতের জন্য বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটির উপ-পরিচালক আজগর আলী জানান, বর্তমানে ৬টি ড্রেজার চ্যানেলের পলি অপসারনের কাজ করছে। তবে স্রোতের কারণে ড্রেজিং করতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়াও চ্যানেলের লুজ পলিগুলো বেকু দিয়ে অপসারণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিটিসির মেরিন অফিসার আহম্মেদ আলী জানান, বর্তমানে ডেজিং চ্যানেল ব্যাতিত আগের ব্যাবহার করা শিমুলিয়া ঘাট থেকে সোজা ন্যাচারাল একটি চ্যানেল দিয়ে কেটাইপ ও ছোট কয়েকটি ফেরি হালকা যানবাহন নিয়ে পরিক্ষামূলকভাবে চলাচল করছে।

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আরমান হোসেন জানান, নাব্যতা সংকটের কারণে এ নৌ-রুটে ফেরিগুলো সীমিত পরিসরে চলাচল করছে। কিন্তু লঞ্চ ও সি-বোটে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন