যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ

  17-04-2019 01:40AM

পিএনএস, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চরমছলন্দ গ্রামে সাথী আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরী গৃহবধূকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকালে সাথী আক্তারের স্বামী শারফুলের বোনজামাই কবীরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

সাথী আক্তারের পরিবারের লোকজন দাবি করছেন, ১ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য সাথী আক্তারকে স্বামীর বাড়ির লোকজন গলা টিপে হত্যা করেছে। সাথী আক্তারের স্বামীর বাড়ির লোকজন দাবি করছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে সাথী আক্তার গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসে উপজেলার চরমছলন্দ জিরাতি পাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের কিশোরী কন্যা চরমছলন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তারের সঙ্গে উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ছয়বাড়িয়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে ছয়বাড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী শারফুলের (২৯) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় দরিদ্র কৃষক আব্দুল লতিফ কন্যার সুখের চিন্তা করে বরপক্ষকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেয়। বিয়ের দুই মাস যেতে না যেতেই শারফুল তার ব্যবসার জন্য সাথী আক্তারের পরিবারের কাছে আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে শারফুল, শারফুলের মা জোসনা আক্তার মা এবং বোন নাসিমা আক্তার ও সাবিনা ইয়াসমিন কিশোরী বধূ সাথী আক্তারকে নির্যাতন করে। পহেলা বৈশাখের দিন রবিবার রাতে যৌতুকের জন্য স্বামী শারফুল জোরপূর্বক সাথীর মুখে ঘুমের ট্যাবলেট দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর স্বামীর বাড়ির লোকজন সাথী আক্তারকে শারফুলের বোন জামাই চরমছলন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরী কবীর মিয়ার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় স্বামী শারফুল ও তার বাড়ির লোকজনও কবীর মিয়ার বাড়িতে আসে।

সাথী আক্তারের বাবা আব্দুল লতিফ অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময় মেয়ের জামাই শারফুলের বোন জামাই কবীর মিয়ার বাড়ি থেকে জানানো হয় সাথী আক্তার আত্মহত্যা করেছেন। গিয়ে দেখি আমার মেয়ের লাশ কবৗর মিয়ার খাটে রাখা হয়েছে। গলাসহ সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে পিটিয়ে গলা টিপে হত্যা করেছে তারা।

গফরগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শারফুলের বোন নাসিমা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
গফরগাঁও থানার ওসি আব্দুল আহাদ খান বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন