শেরপুরে গ্রামবাসীর টাকা ও স্বেচ্ছাশ্রমে খন্দকারটোলা সড়ক সংস্কার

  03-07-2020 07:15PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলা মাজারগেট থেকে সাধুবাড়ী পর্যন্ত সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বিশেষ করে এই সড়কটির চারটি পয়েন্টে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ওইসব গর্তে পানি জমে ডোবায় পরিনত হয়। এ অবস্থায় যানবাহন চলাচল করায় প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় সব দুর্ঘটনা।

এছাড়া বেহাল সড়কটিতে যাতায়াত করতে গিয়ে অন্তত পনেরটি গ্রামের মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট একাধিকবার ধরনা দিয়েও সহযোগিতা পাননি। তাই দুর্ভোগ লাঘবে তারা নিজেরাই টাকা তুলে সড়কটি সংস্কারে এগিয়ে এসেছেন। খন্দকারটোলা গ্রামবাসীর টাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৮০০মিটার সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। ওই গ্রামের বাংলালিং টাওয়ারের পশ্চিম পাশ থেকে ফজলুর মোড় পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে দশ থেকে বারো লাখ টাকা। সরেজমিনে গেলে কথা হয় আলহাজ¦ মিল্লাত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই সড়কটির চারটি স্থানে পিচ পাথরের পাকা উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধ হয়ে যায়। ফলে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য পড়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। অত্র শাহবন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য মাহমুদুল হাসান বলেন, সড়কে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ নিয়ে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলছিল। সড়কের খানাখন্দের অংশে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তিনি উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ে একাধিকবার জানিয়েও কোনো উপকার পাননি। শেষ পর্যন্ত এই বেহাল সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া। এজন্য ৩৫সদস্য বিশিষ্ট একটি সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে নুরুল ইসলাম নুরুকে আহবায়ক ও খন্দকার ওসমান গণিকে সদস্য সচিব করা হয়। প্রথম বৈঠকেই সড়ক সংস্কারের জন্য কমিটির আহবায়ক সমাজসেবক নুরুল ইসলাম নগদ ৫০হাজার টাকা তুলে দেন। এরপর গ্রামের সবাই তাদের সাধ্যনুযায়ী টাকা দেয়া শুরু করেন। ওইসব টাকা দিয়েই কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সড়কের ক্ষহিগ্রস্ত এই অংশের দুই পাশে উঁচু করে ইটের দেয়াল (গাইডওয়াল) তুলে তার মধ্যে অন্তত দেড় ফুট বালু ফেলা হবে। এরপর বালু ও ইটের খোয়ার মিশ্রণ ফেলে রোলার দিয়ে দাবিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

আহবায়ক কমিটির সদস্য আবদুল ওহাব বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাজে সহযোগিতা চেয়েছেন। কিন্তু সহযোগিতা না পেয়ে গ্রামের লোকজন এই সংস্কারের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছেন। তারা নিজেরাই টাকাা তুলে গত দুইদিন আগে থেকে এই সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের (এলজিইডি) উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, এই সড়কটির প্রায় এক কিলোমিটার সংস্কার করা অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে। তার দপ্তর থেকে লিখিতভাবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু অনুমোদন না আসায় সংস্কার করাও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানানা তিনি।

পিএনএস/এসআইআর

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন