পিএনএস ডেস্ক : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মারা যাওয়া যুবতী উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ছোট সাতাইল বাতাইল ফুটানি বাজার এলাকার মমিনুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার প্রিয়া (১৭)। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা মর্গে পাঠিয়েছে। প্রিয়া মৃত নূর আলমের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, জেসমিন আক্তার প্রিয়া সোমবার দুপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। প্রিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মা মরিয়ম বেগম অভিযোগ করেন, তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে স্বামীর পরিবার।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রেজাউল করিম জানান, প্রিয়া মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জ্বর-সর্দির মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যায়। তিনি আরো জানান, তার শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা যায়নি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মজিদুল ইসলাম জানান, প্রিয়া জ্বর-সর্দি-কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় এবং এই উপসর্গ নিয়েই সে মৃত্যুবরণ করে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম মেহেদী হাসান জানান, প্রিয়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মারা যাওয়া প্রিয়ার পরিবার মেরে ফেলার অভিযোগ করায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
জেসমিন আক্তার প্রিয়ার গত মাসের ১৬ জুন করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। পরবর্তীতে করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। আবার সোমবার দুপুরে প্রিয়া করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সে মারা যায়।
পিএনএস-জে এ
করোনা উপসর্গে যুবতীর মৃত্যু, পরিবারের অভিযোগ 'হত্যা'
07-07-2020 06:16PM