গাইবান্ধায় পানিবন্দি ২৫ গ্রামের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

  09-07-2020 05:48PM

পিএনএস, গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের অন্তত ২৫ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ঐতিহ্যবাহী করতোয়ার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি বন্দি হয় নদী এলাকার এসব মানুষ। তবে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও তা এখনো বিপৎসীমার নিচ নিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয়না জানান, ফকিরগঞ্জ,ফুলাহার মসজিদ পাড়া,পূর্ব ফুলাহার মধ্যপাড়া, মধুপুর ডাঙ্গাপাড়া,সাহেবগঞ্জ, চকরহিমাপুর, গোসাইপুর, হাতিয়াদহ,সমসপাড়া, বড় নারায়নপুর, মথুরাপুর, উত্তর ধর্মপুর, ছয়ঘরিয়া, কাজলা, কুঠিপাড়া, ধুন্দিয়া, তালুক সোনাই ডাঙ্গা ও চর বালুয়াসহ উপজেলার মধ্যেদিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদী এলাকার অন্তত ২৫ গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়েছে। ফুলাহার গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক জানান, এসব এলাকার আমন বীজতলা, পাট, ইক্ষু ও কলাবাগানসহ বিভিন্ন ফসলী জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায় ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করতোয়ার ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। হরিরামপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান আলী জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ধুন্দিয়া ও তালুক সোনাইডাঙ্গা এবং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চর বালুয়া এলাকার প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ী করতোয়ার ভাঙ্গণে বিলিন হয়েছে। ভাঙ্গণ কবলিত এলাকার মানুষ বলেন, আমরা ত্রাণ চাইনা, চাই নদী ভাঙ্গণের কবল থেকে বাঁচতে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রামকৃষ্ণ বর্মণ বলেন, ধুন্দিয়ায় নদী ভাঙ্গণের শিকার ১৮ পরিবারকে আপাতত পাশ্ববর্তী গুচ্ছগ্রামে ঠাঁই করে দেওয়া হয়েছে।যতদিন পর্যন্ত তারা স্বাভাবিক না হতে পেরেছেন ততদিন তাদের ত্রাণ দেওয়া হবে। নদী ভাঙ্গণ প্রতিরোধের বিষয়ে ইউএনও বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। পানি কমলেই ভাঙ্গন রোধে তারা কাজ শুরু করবেন ।

পিএনএস/এসআইআর


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন