দক্ষিণে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম

  05-08-2020 09:01PM

পিএনএস ডেস্ক : বরিশাল নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কীর্তণখোলার পানি প্রবেশ করে ডুবে গেছে নগরীর বেশিরভাগ এলাকা। কীর্তণখোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরিশালের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, পূর্ণিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বুধবার বিকালে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

মো. মাসুম জানান, বুধবার বিকাল ৬টায় কীর্তণখোলার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটারর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তখনও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছিল। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভাটা শুরু হলে পানি কমতে শুরু করবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, সবচেয়ে বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ভোলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনার শাখা তেতুলিয়াসহ অন্যান্য নদীগুলোতে। ভোলা শহর সংলগ্ন তেতুলিয়ায় বিকাল ৪টার দিকে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে। বোরহাউদ্দিন উপজেলা সংলগ্ন মেঘনার শাখা নদীতে পানি প্রবাহিত হয়েছে বিপদসীমার ১ মিটার ওপর দিয়ে। তবে ভোলা শহর রক্ষা বাঁধের কারণে শহরের ভেতরে পানি প্রবেশ করতে পারেনি বলে মো. মাসুম জানান। বুধবার দুপুর থেকে জোয়ারের পানি বরিশাল নগরীর মধ্যে ঢুকে পড়েছে। ইতোমধ্যে অলিগলিতে পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে নগরীর সদর রোড, বগুড়া রোড, নবগ্রাম রোড, প্যারারা রোড, নিউ সার্কুলার রোড, প্রেসক্লাব সড়ক, পলাশপুর, রসুলপুর, চরেরবাড়ি, গোরস্থান সড়ক, টিয়াখালী, তালতলীসহ বেশকিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়ায় সাধারন মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

টিয়াখালী এলাকার বাসিন্দা মো: আক্তার হোসেন বলেন, বেলা ১২টার দিকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করা শুরু করে। বিকেল নাগাদ আসপাশের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।

এদিকে জেলার মেঘনা বেস্টিত মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, মুলাদী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকার শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

হিজলার সংবাদকর্মী হুমায়ুন কবির এবং মেহেন্দীগঞ্জের সংবাদকর্মী ইউসুফ হোসেন সৈকত জানান, মেঘনা বেষ্টিত হওয়ায় প্রত্যন্ত এই এলাকার শত শত মানুষের ঘর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সহায়তায় এগিয়ে আসছে না কেউ। একই অবস্থা ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা জেলার।

পিএনএস/এসআইআর



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন