অভিমান ভুলে হেফাজতে ফিরতে চান আনাসপন্থীরা

  19-11-2020 03:38AM

পিএনএস ডেস্ক : অভিমান ভুলে সদ্য ঘোষিত হেফাজতের নতুন কমিটিতে ফিরতে রাজি আনাসপন্থীরা। তবে শর্ত হচ্ছে, ঘোষিত কমিটি সংস্কার করতে হবে এবং আল্লামা শফীর নীতি ও আদর্শে ফিরে আসতে হবে। অপরদিকে বর্তমান কমিটির নেতারা মনে করেন পদবঞ্চিতদের বহিষ্কার করা হয়নি, সতর্ক করা হয়েছে। শিগগিরই হেফাজতের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির বাকি ৩১ জনকে যুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।

অরাজনৈতিক সংগঠনটির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ইসলামী ঐক্যজোট চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী বুধবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, হেফাজতে ইসলাম কোনো ব্যক্তি বা দলকেন্দ্রিক সংগঠন নয়, এটি এ দেশের কওমি আলেম ও মুসলমানদের একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম। হেফাজতের ভাঙন আমরা চাই না। বর্তমান কমিটির নেতারা যদি আল্লামা শফীর নীতি ও আদর্শে ফিরে আসেন এবং তাদের ভুল শুধরে নেন তাহলে এক হয়ে কাজ করতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই।

তিনি আরও বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আমরা একই ওস্তাদের ও মাদ্রাসার ছাত্র। তাদের সঙ্গে আমাদের অভিমান। তবে তারা যদি অভিমান দীর্ঘস্থায়ী করে তাহলে হয়তো আমাদের কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ বিষয়ে আগামী শনিবার ঢাকায় তাদের অনুসারী আলেম-ওলামা এবং হেফাজত নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।

১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় সম্মেলনে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে প্রধান করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে হেফাজতে ইসলাম। ১৫১ সদস্যের মধ্যে ১২০ জনকে ওই দিন মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বাকি ৩১ জনকে পরে যুক্ত করবে নতুন কমিটি। ওই কমিটিতে স্থান পাননি আগের কমিটির প্রচার সম্পাদক ও হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী। এছাড়া তার অনুসারী অনেকেই পদ পাননি। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক কমিটির নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী, মাওলানা সলিমুল্লাহ ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আমিনী।

পদবঞ্চিতদের বহিষ্কার করা হয়নি, হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে মনে করেন বর্তমান কমিটির নবনির্বাচিত সহ-সম্পাদক ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী। তিনি মনে করেন, পদবঞ্চিতরা তাদের কৃতকর্মের জন্য বাদ পড়েছেন। এর মানে এই নয়- হেফাজত তাদেরকে চিরস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।

যদিও এমন বক্তব্য মনগড়া দাবি করেন মঈনুদ্দীন রুহী। তিনি বলেন, তারাই হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমীর আল্লামা শফীর ওপর জুলুম নির্যাতন ও তার কক্ষ ভাংচুর করেছে। ছাত্র আন্দোলনের নামে হাটহাজারী মাদ্রাসার বেশ কয়েকজন আলেমকে মারধর করেছে।

এদিকে শিগগিরই বাকি ৩১ জনকে যুক্ত করে হেফাজতের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নতুন কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনির। তিনি বলেন, দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর আগেই বাকি সদস্যদের যুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি প্রকাশ করা হবে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন