নদী ভাঙনের দুশ্চিন্তায় ঘুম নেই তালতলীর তেতুলবাড়িয়া গ্রামবাসীর

  19-01-2021 11:16AM


পিএনএস ডেস্ক: বরগুনার তালতলী উপজেলার বুড়ীশ্বর (পায়রা) নদীর অব্যাহত ভাঙনে বাব-দাদার বসতভিটা, ফসলী জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে তালতলী উপজেলার তেতুলবাড়ীয়া গ্রামের শত শত পরিবার। বসতবাড়ি হারানো এই সকল পরিবার বেড়িবাঁধের মানবতর জীবন কাটাচ্ছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আর জলোচ্ছ্বাসে ভয়াবহ দুর্ভোগ নেমে আসে এই সকল পরিবারের উপর। নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় আতংকে ভুগছে ভাঙন কবলিত এ অঞ্চলের মানুষ।

নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া ও জয়ালভাংগা এলাকার বুড়িশ্বরের (পায়রা) প্রবল স্রোতে ভয়াবহ ভাঙনে মুহূর্তের মধ্যে এ এলাকার প্রায় ৩ শতাধিক বাড়িঘর, কয়েক হাজার একর জমি, মসজিদ কবরস্থান ফলজ ও বনজ গাছ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আতংকে রয়েছে আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষেরা। গত বছরের নভেম্বর -ডিসেম্বর ২ মাসে প্রায় ২ কিলোমিটার বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, গত ২ মাসে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদ, গাছ, ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতংকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। বুড়িশ্বর নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে সহায় সম্বল আর মাথা গোজার শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে অসহায় মানুষগুলো আশ্রয় নিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের খোলা আকাশের নিচে, এ যেনো এক অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল প্রকৌশলী জানান, তেতুল বাড়িয়ায় কিছুদিন আগের জলোচ্ছ্বাসে নয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামত করা হবে। সিডরের পর কত বার মেরামত করা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, কাগজপত্র দেখে বলতে হবে তবে তিন চার বার মনে হয় মেরামত করা হয়েছে। বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মাটিকাটায় বাঁধ কতটুকু টেকসই হবে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, দূর থেকে মাটি কেটে আনার বরাদ্দ না থাকায় বেড়িবাধেঁর পাশ থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি থেকেই মাটি কাটতে হয়। স্থায়ী বেরি বাঁধ নির্মাণ হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি জানান, স্থায়ী বেড়িবাঁধ প্রকল্প আমাদের প্রক্রিয়াধীন আছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন