বহুল আলোচিত চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আজ ভোট

  27-01-2021 12:55AM

পিএনএস ডেস্ক : নানা উদ্বেগের মধ্যে আজ (বুধবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ।

সবকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ করা হবে। এ নির্বাচনকে ঘিরে একদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর অনুসারীদের মারামারি, সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে; অপরদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের অনুসারীদের মধ্যেও ঘটেছে খুনোখুনির ঘটনাও। নির্বাচনি সহিংসতায় এরই মধ্যে তিনজন খুন হয়েছেন।

সর্বশেষ রোববার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউলের পক্ষে যুবলীগের প্রচারণায় অভ্যন্তরীণ বিরোধে ছুরিকাহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার। মাঠে নেমেছেন পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরাও।

এ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী বাদে আরও চারটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা ও উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেছেন, পরিবেশ সুষ্ঠু না হলে অবাধ, নিরপেক্ষ, আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। সোমবার ঢাকায় নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা পালটাপালটি অভিযোগ করেছেন। ভোটগ্রহণ সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে পুলিশের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারের অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেছেন, পুলিশ ঘরে ঘরে গিয়ে অভিযান চালানোর কারণে সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে ভিন্ন কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হবে। পরিবেশ ভালো রয়েছে। সবাইকে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান তিনি।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী একই বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটিতে ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে গত ২১ মার্চ প্রথম দফায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৪ জুলাই পুনরায় চসিক নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এই সময়ে চসিকের প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে। প্রশাসকের মেয়াদের শেষ পর্যায়ে ২৭ জানুয়ারি ভোটের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনের মধ্যে। এছাড়াও মেয়র পদে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর, বাংলাদেশে ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৭২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৭ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। এদিকে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ও পালটা অভিযোগের পাহাড় জমেছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত ৩৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারণে নির্বাচনের দিন সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

যদিও প্রশাসন বলছে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় তাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনাকেই চ্যালেঞ্জ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও চট্টগ্রামস্থ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানো হয়েছে। এ নির্বাচনে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪১০টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এসব কেন্দ্রের পাহারায় ৬ জন অস্ত্রধারী পুলিশসহ মোট ১৮ জন দায়িত্ব পালন করবেন। আর সাধারণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৪ জন সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এছাড়া ভোটকেন্দ্রের বাইরে ২৫ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ৪১টি টিম এবং পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়নের ৪১টি মোবাইল ও ১৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছেন। তারা সোমবার থেকে টহল দিতে শুরু করেছেন। ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে।

এছাড়া ২০ জন জুডিশিয়াল ও ৪১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও মাঠে রয়েছেন। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ গণগ্রেফতার শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ঘরে ঘরে অভিযান চালানোর কারণে সম্ভাব্য এজেন্টরাও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। শেষ তিনদিনে তার ৩০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসব অভিযোগে তিনি সোমবার দুপুরে লাভলেনে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন। এ অবস্থায় ভোট আদৌ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না, ভোটকেন্দ্রে ভোটার আসবে কি না, তা নিয়ে গভীর সংশয় প্রকাশ করেছেন দলটির নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত নেতারা।

অন্যদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে প্রচারণায় চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি তেমন একটা না থাকলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউলকে জেতাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা চট্টগ্রামে বেশ কয়েকদিন ধরে অবস্থান করছেন। মন্ত্রী-এমপিরা প্রকাশ্যে ভোট চাইতে না পারলেও ঘণ্টায় ঘণ্টায় বৈঠকের পর বৈঠক করছেন। দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর কলাকৌশল নির্ধারণ করছেন।

চট্টগ্রাম সিনিয়র্স ক্লাব, হোটেল পেনিনসুলা, রেডিসন ব্লু, চট্টগ্রাম ক্লাবসহ অভিজাত হোটেলে বসে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে করছেন নীতিনির্ধারণী বৈঠক। সার্বিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিকেই চ্যালেঞ্জ মনে করছে আওয়ামী লীগ। স্বয়ং দল মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি মতবিনিময় সভায় রোববার বলেছেন, ‘আপনারা মনে করবেন না যে দল মনোনয়ন দিয়েছে, এতেই প্রার্থী জিতে যাবে।

ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার বিকল্প নেই। ভোটের দিন সকাল সকাল কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। আত্মীয়স্বজন যদি ভোটার থাকে তাদেরও কেন্দ্রে আনতে উদ্বুদ্ধ করতে বলেছেন। রেজাউলের এমন বক্তব্যের মধ্যেই ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনার চ্যালেঞ্জ ফুটে উঠেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর চট্টগ্রাম জেলা শাখার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আমি সন্দিহান। কারণ, এরই মধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থীর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সরকারি দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সরকারি দল সমর্থিত বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় তারাও আরও দুর্বিনীত হয়ে মাঠে আছেন। এদের বিষয়ে প্রশাসনও অসহায়। কোনো কোনো ওয়ার্ডে নির্বাচন ঘিরে টানটান উত্তেজনা রয়েছে। সাধারণ ভোটাররা আছেন আতঙ্কে। তাছাড়া ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আনার ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন কিংবা নির্বাচন কমিশন আস্থা তৈরি করতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না। চাইলে তারা ভোটকে উৎসবমুখর করে তুলতে পারত।

তাই ভোটপ্রিয় বাঙালি চসিক নির্বাচনের ভোট নিয়েও হতাশ। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে যে, ভোটকেন্দ্রে গেলেও কী, না-গেলেও কী-যা হওয়ার তা-ই হবে। কোনোভাবে নিরাপদে ২৭ তারিখটা (নির্বাচনের দিন ২৭ জানুয়ারি) নিরাপদে পার হলেই হলো।’

সংঘাত-সংঘর্ষ ছিল প্রতিদিনই

নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই ছিল সংঘাত-সংঘর্ষ। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঘিরে উত্তাপ-উত্তেজনা লেগেই ছিল। দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে আজগর আলী বাবুল নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হন।

১৫ জানুয়ারি বাকলিয়ায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউলের নির্বাচনি প্রচারণা থেকে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান রোহিত। সর্বশেষ রোববার ষোলশহর কসমোপলিটন আবাসিক এলাকার মুখে রেজাউলের প্রচারণায় আয়োজিত চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের মিছিলে ছুরিকাহত হন কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী।

অভিযোগ-পালটা অভিযোগ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে ঘিরে অভিযোগের পাহাড় জমছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। ১০ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জমা পড়ে ৫৮টি অভিযোগ। এর মধ্যে বেশির ভাগ অভিযোগ জমা পড়েছে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে। সর্বশেষ সোমবার ডা. শাহাদাত নিজেই নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তিনদিনে তার এজেন্টসহ ৩০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ দেন নির্বাচন কমিশনে। তিনি এদের মুক্তির দাবি জানান।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ৫৮টি অভিযোগের মধ্যে ৩৫টি নিষ্পত্তি হয়েছে। কোনো ধরনের ফৌজদারি মামলা না থাকলে বা যৌক্তিক কারণ না থাকলে গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির ব্যাপারে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন বিএনপি প্রার্থীকে। তবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল অভিযোগ করেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে চাপে রাখতেই ডা. শাহাদাত অবস্থান কর্মসূচির নাটক সাজিয়েছেন। মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।’

একনজরে চসিক নির্বাচন

মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন। চসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন ৭৩৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং অফিসার। এছাড়াও অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ হিসাবে মোট ১৬ হাজার ১৬৩ জন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্র এবং ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

৪১০ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

৫৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসাবে চিহ্নিত করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। অর্থাৎ ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪১০টিই ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ৩২৫টি কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. আবদুল ওয়ারিশ বলেন, ‘কেন্দ্রগুলোর অতীতের সহিংসতার ইতিহাস, প্রার্থীদের অবস্থান এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৯ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েনসহ বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। ২৫ প্লাটুন বিজিবি সবকটি কেন্দ্রে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে কাজ করবে। ভোটকেন্দ্রে যাতে ভোটাররা নিরাপদে আসতে পারেন এবং ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

টহলে বিজিবি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার সন্ধ্যায় নগরীতে টহলে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নগরীর বিভিন্ন স্থানে খোলা ট্রাকে করে সশস্ত্র বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন