প্যান্ট চুরি করে সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়লেন ছাত্রলীগ নেতা!

  13-04-2021 01:19AM

পিএনএস ডেস্ক : প্যান্ট চুরি করে ধরা পড়ে শেষে জরিমানা দিয়ে ও ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেলেন ছাত্রলীগ নেতা। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। এই ছাত্রলীগ নেতার নাম জুয়েল রানা। তার বাড়ি তানোরের চাপড়া গ্রামে। জুয়েল রানা রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

গত শনিবার রাতে তানোরের গোল্লাপাড়া বাজারের একটি গার্মেন্টস দোকান থেকে একটি প্যান্ট চুরি করে নিয়ে যায় সে। সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনাটি ধরা পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনাটি ধরা পড়ে। ব্যবসায়ীরা তাকে ধরে এনে শালিস বৈঠক করেন।

পরে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়ে জীবনে আর এমন কাজ করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। অবশ্য জুয়েল রানা প্যান্টের মুল দামের সঙ্গে আরও ২০ টাকা টোকেন জরিমানা দিয়ে মোট ৩২০ টাকা দোকানিকে দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত একটি ভাইরাল হয়েছে সোমবার। অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার রাতে স্থানীয় গোল্লপাড়া বাজারে প্রসেনজিৎ কুমার সরকারের স্টাইল কালেকশান নামের গার্মেন্টসের দোকানে যান ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানা। কয়েকটি জিনসের প্যান্ট দোকানের সামনে বড় হ্যাঙ্গারে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। সামনের ভিআইপি গার্মেন্টস নামের একটি দোকানে সিসিটিভিও চালু ছিল ওই সময়।

স্টাইল কালেকশানের মালিক প্রসেসজিৎ কুমার দাস জানান, ঘটনার সময় তিনি দোকানে ছিলেন না। তার ছোট ভাই দ্বীপক কুমার দাস দোকানে ছিলেন। দোকানের ভেতরে কাউকে দেখতে না পেয়ে জুয়েল রানা একটি জিনসের প্যান্ট টেনে নিয়ে চলে যান।

পরের দিন রোববার (১১ মার্চ) দোকান মালিক এসে দেখেন তার একটি প্যান্ট চুরি গেছে। সে সামনের ভিআইপি গার্মেন্টসের মালিক রাশেদ মোল্লাকে তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে বলেন। এই সিসিটিভিতে ছাত্রলীগ নেতার প্যান্ট চুরির ঘটনা ধরা পড়ে।

এদিকে রোববার বিকালে প্রসেনজিৎ দাস বণিক সমিতির সভাপতি সারোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পাপুল সরকারকে জানান। তারা লোক পাঠিয়ে জুয়েল রানাকে ধরে আনেন।

বণিক সমিতির অফিসে সালিশ বৈঠকে ছাত্রলীগ নেতা প্যান্ট চুরির কথা স্বীকার করেন। তাকে প্যান্টের মুল দাম ৩০০ টাকার সঙ্গে ২০ টাকা টোকেন জরিমানা করা হয়। এই টাকা দোকানীকে দেওয়া হয়। দোষ স্বীকার করায় জুয়েল রানাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানা চুরির কথা অস্বীকার করেন। তার দাবি, সেদিন সন্ধ্যায় মার্কেটের পেছনে কেউ একজন তাকে পানের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। এরপর তার নেশা ধরে যায়। তিনি আর কথা বলতে পারছিলেন না। তাই দোকানে কিছু না বলেই, প্যান্টটা নিয়ে চলে আসেন। ওই প্যান্ট পরে দোকানে গিয়ে মূল্য পরিশোধ করেছেন বলে জানান তিনি।

তবে সিসিটিভি ফুটেজে তাকে অসুস্থ নয়, বরং স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যেতে দেখা গেছে তাকে।

এদিকে ছাত্রলীগ নেতার প্যান্ট চুরি ও জরিমানা দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোমবার।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। ব্যবসায়ী বা বাজার কমিটির দিক থেকে অভিযোগ পেলে জুয়েলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন