পোস্ট অফিসে আইসক্রিমের ব্যবসা

  25-04-2024 10:40AM



পিএনএস ডেস্ক: ভোলার আলীনগর ও চরসামমাইয়া ইউনিয়নের মধ্যবর্তী এলাকার সুকদেব ডাকঘরটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও ব্যবহার হচ্ছে পোস্টমাস্টারের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক সেন্টার হিসেবে। ডাকঘর ভবনের দুটি কক্ষেই রয়েছে দুটি বিশাল আকারের ডিপফ্রিজ। ফ্রিজের মধ্যে সংগ্রহ করে রাখা হয় আইসক্রিম। এখান থেকে প্রতিদিন আইসক্রিম নিয়ে তা বাজারে বিক্রি করা হয়।

সরেজমিনে পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায় দুটি কক্ষে তালা ঝুলছে। ডাকটিকিট নেওয়ার পকেট স্থানটি ধুলাবালিতে ঢাকা। নামেমাত্র পোস্ট অফিস হলেও ব্যবহার হচ্ছে না কোনো কিছুই। ধুলাবালির আস্তরণে ঢাকা পড়েছে আসবাবপত্র। অফিসে নেই পোস্টমাস্টার ও পোস্টম্যান।

তাদেরকে না পাওয়া গেলেও দেখা মেলে পোস্টমাস্টার মো. মনিরুল ইসলামের ছেলের। সে জানায়, তার বাবা বাজারে তাদের দোকানে দোকানদারি করছেন। পোস্ট অফিসের ভেতর রাখা ফ্রিজ দোকানের।

পোস্টমাস্টারকে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে জানান, রোগী দেখতে তিনি ভোলা হাসপাতালে গেছেন। আসতে দেরি হবে।

ওই অফিসে সংযুক্ত ডাকপিয়ন অমল কৃষ্ণ দে জানান, চিঠি থাকলে তিনি কেবল তা বিতরণ করেন। তিনি ৩টি পোস্ট অফিসের দায়িত্বে থাকায় একদিন পরপর আসেন।

এ বিষয়ে জেলার প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার মো. কামরুল আহসান বলেন, পোস্ট অফিসের সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। মনিরুল ইসলাম যে কাজ করছেন তা সঠিক নয়। তার বিরুদ্ধে যথানিয়মে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওই দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন জানান, সরকারের কোনো অফিস কারও ব্যক্তিগত কাজে বা ব্যবসা সেন্টার হতে পারে না। জরুরি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন