পিএনএস ডেস্ক: যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় প্রেম করার অপরাধে তরুণ-তরুণীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেশবপুর উপজেলার ৪ নং বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদ কক্ষের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের একটি কক্ষের জানালার সাথে প্রাপ্ত বয়সের একটি ছেলে ও একটি মেয়েকে দড়ি দিয়ে দু-হাত বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতনের কাহিনী দেখতে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে নির্যাতনকারীরা তড়িঘড়ি করে ঐ ছেলে-মেয়ের হাতের বাধন খুলে দেয়।
এসময় নির্যাতনের শিকার উপজেলার তেঘরি গ্রামের হাফিজুর রহমান মোড়লের মেয়ে খুর্শিদা খাতুন ২০ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, নড়াইল জেলার কালুখালি গ্রামের ইউনুস ফকিরের ছেলে রবিউল ইসলামের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে আমাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে সরাসরি রোববার দুপুরে রবিউল তেঘরি গ্রামে আসেন। তার আসার সংবাদ শুনে মেয়ের মামাতো ভাই তেঘরি গ্রামের শাহাদাৎ মোড়লের ছেলে বাবলু মোড়ল এলাকার লোকজন নিয়ে ছেলে-মেয়ে উভয়কে ধরে মারপিট করতে করতে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাশিয়ার রহমানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ আব্দুস সামাদ তাদের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের জানালার গ্রিলে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধোর করেন।
খবর জানতে পেরে থানার ওসি সহিদুল ইসলাম তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। ওসি সহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকেলে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাশিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, তারা পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য বেঁধে রাখা হয়। তাদের মারপিট করার অভিযোগ মিথ্যা।
ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি ঢাকাতে অবস্থান করছি। খবর জানতে পেরে আমি পুলিশে খবর দেই। পুলিশ কি করেছে আমার জানা নেই।
পিএনএস/আলআমীন
প্রেম করায় তরুণ-তরুণীকে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন
29-11-2016 02:47PM