প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেঁকিয়ে মারধর করেছে যুবলীগ নেতা

  28-05-2017 07:27AM


পিএনএস ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় বস্তল এলাকায় বালু ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপক ও চালককে প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে এক সাবেক যুবলীগ নেতা ও সনমান্দি এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের চার জনকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। এবিষয়ে পৃথকভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার ( ২৭ মে ) দুপুরে পৃথকভাবে এই ঘটনা ঘটে।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় বালু ব্যবসাকে কেন্দ্রকরে দীর্ঘদিন ধরে ফাতেমা ড্রেজিং প্রকল্পের মালিক নুরুল ইসলামের সঙ্গে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে ও সাবেক যুবলীগ নেতা সোহরাব হোসেনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী পিস্তল,রামদা,হকিস্টিক সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফাতেমা ডেজিং প্রকল্পের ব্যাবস্থাপক আবুল কালাম ও চালক ইবব্রাহীম মিয়াকে প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে তাদেরকে পিটিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করে।

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সোহরাব হোসেনকে বারদী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। এদিকে সনমান্দি ইউনিয়নের সনমান্দি গ্রামের শফিকুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের আবুল হোসেনের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে আবুল হোসেনের নির্দেশে রোবেল মিয়া,জুয়েল হোসেন ও ছানার হোসেনের নেতৃত্বে ৫-৭জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে শফিকুল ইসলামের চাচা নুরা হোসেন ও বাতেন মিয়া,চাচাতো ভাই সোহেল মিয়া ও সবুজ হোসেনকে পিটিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করে। আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে এলাকাবাসীরা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ফাতেমা ডেজ্রিং প্রকল্পের মালিক নুরুল ইসলাম বলেন,বালুর ব্যাবসাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী সোহরাব মিয়া ও তার লোকজন বিভিন্ন সময়ে অমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না পেয়ে গতকাল আমার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও গাড়ি চালককে প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেঁকিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। এদিকে শফিকুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আবুল হোসেনের নির্দেশে আমাদের পরিবারের চার জনকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাব হোসেন ও আবুল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আলী হায়দার বলেন, সোহরাব হোসেন নামে আমাদের কমিটিতে কেউ নেই। যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অপকর্ম করলে দলীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, দুটি বিষয়ে পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সোহরাব হোসেন নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন