প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও থেমে নেই ইয়াবা কারবারীদের দৌরাত্ম

  24-07-2017 10:52PM

পিএনএস, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের উখিয়া -টেকনাফ সীমান্ত পয়েন্ট ইয়াবা কারবারীদের নিরাপদ জোন হলেও, আছঁড় লাগাতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নানা কৌশলে এগোচ্ছে প্রশাসন। এর পরও থেমে নেই ইয়াবা কারবার। হরদম ইয়াবা ব্যবসায় সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের পুলিশ প্রশাসনের স্মরণ কালের বৃহৎ ইয়াবার চালান আটকের গর্বিত অংশীদার পুলিশ। তাও আবার কক্সবাজার -টেকনাফ সড়কের বালুখালীস্থ শাহপরীর দ্ধীপ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি। যারা ২লাখ ৫৫হাজার ইয়াবা, ট্রাক ও ২ পাচারকারীকে আটক পুর্বক জেলহাজতে প্রেরণ করে। এমন কোন দিন নেই, কমবেশি ইয়াবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছে না।

ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর হুশিয়ারী ঘোষণার পর থেকে পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর অনড় অবস্থানের কারণে ইয়াবা ব্যবসায়ীরাও নানা অপতৎপরতার পাশাপাশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ; এমন কি অভিযান চালাতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ইয়াবা চক্রের হামলার শিকার হয়েছে খোদ পুলিশ ও বিজিবিসহ বিভিন্ন আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরাও। এছাড়া সংঘবদ্ধ চক্রটি ইয়াবা বিরোধী অবস্থানে থাকা লোকজনের উপর হামলা চালানোর পাশাপাশি অভিযান পরিচালনাকারি আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালানোর খবরও পাওয়া গেছে।

তাছাড়া চক্রটি ইয়াবার বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে রকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করার অপতৎপরতাও চালিয়ে যাচ্ছে নানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।তবে এটাও ঠিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের ভার্বমুতি প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিতর্কিত হওয়ার খবরও কম নয়। এসব ইয়াবা আটক করে শোকর নেই পুলিশের। কারণ কিছু অসাধু অফিসারদের কারণে এমনটিই হচ্ছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ইয়াবার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃংখল রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও।

তাদের অভিমত, সংঘবদ্ধ ইয়াবা চক্রের নানামুখি অপতৎপরতা ও বেপারোয়া আচরণের কারণে খোদ সরকার প্রধানের ঘোষণা বাস্তবায়ন নিয়েও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গত ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি সফরে কক্সবাজার এসে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে সর্বনাশা ইয়াবার বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী ঘোষণা করেন। এতে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িতরা যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেনো তাদের আইনের আওতায় আনতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের প্রতি নির্দেশ দেন। এ নিয়ে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরাও নড়েচড়ে উঠেন। আর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ১৮ দিনের মাথায় গত ২৪ মে টেকনাফ সফরে আসেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। সেখানে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় সচেতন মহল ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ইয়াবা ব্যবসা বন্ধে সহযোগিতা কামনা করেন এবং নানা নির্দেশনা দেন।

এরপর জেলা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা ইয়াবা বিরোধী নানা তৎপরতা শুরু করে। এতে অভিযানে বেশ কিছু চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর সংঘবদ্ধ চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠার পাশাপাশি অভিযানকারিদের উপর হামলা চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া ইয়াবার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধেও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নামে-বেনামে অভিযোগ দায়ের করে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র।

একাধিক দায়িত্বশীল সংস্থার তথ্য মতে, সংঘবদ্ধ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা টেকনাফে ইয়াবা বিরোধী অভিযান বন্ধ করতে নানা কৌশল নিয়েছে। তারা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশসহ অভিযান পরিচালনাকারি বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ঘায়েল করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অপতৎপরতার অংশ হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরে নামে-বেনামে অভিযোগ দায়ের, গণমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা তথ্য প্রদান ও ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় সংবাদ প্রকাশকেও কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে অবৈধ অস্ত্র মজুদ এবং সংঘবদ্ধ হয়ে হামলার ঘটনাও সংঘটিত করছে। এ হামলা কখনো পুলিশ, কখনো গণমাধ্যম কর্মী আবার কখনো ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারি লোকজনের উপরও।

টেকনাফ থানা পুলিশের তথ্য মতে, টেকনাফ থানা পুলিশ গত ৫ মাসে অভিযান চালিয়ে ৬ লাখ ৯১ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এসব অভিযানে ১৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ১২৯টি মামলা করেছে। এতে অভিযানের পর চরম বেকায়দায় রয়েছে সংঘবদ্ধ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। তারা এখন হামলার পাশাপাশি পুলিশসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের হয়রানীর চেষ্টা করছে। এরা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নামে-বেনামে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দিয়ে যাচ্ছেন। এসব অভিযোগের পাশাপাশি গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য বা বিশেষ ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় সংবাদ প্রকাশও করা হচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত কয়েকদিন আগে অভিযান চালাতে গিয়ে টেকনাফের নাজিরপাড়া ও সাবরাং এর আলীর ডেইল এলাকায় সংঘবদ্ধ ইয়াবা চক্রের হামলার শিকার হয় ডিবি পুলিশের একটি দল। এ নিয়ে হামলাকারিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। এসব হামলায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করার কথাও মামলার এজাহারে বলা হয়েছে। এর আগেও টেকনাফে বিজিবি সদস্যের উপর এবং ইয়াবার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারি অন্যান্য লোকজনের উপরও হামলার ঘটনা ঘটে। এতেও প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ইয়াবা চক্রের হামলায় অনেকেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এমন কি সোর্স সন্দেহ লোকজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে টেকনাফে।

এসব ঘটনার বিশ্লেষণ করে পুলিশ কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন, এ চক্রের হাতে অবৈধ অস্ত্রের মজুদও রয়েছে। টেকনাফের এক জনপ্রতিনিধি জানান, টেকনাফ পৌরসভার জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে শাহাজাহান নামের এক ব্যক্তি গত ১৯ জুলাই টেকনাফ মডেল থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার ড.একেএম ইকবাল হোসেনকে পুলিশের নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেন। এসময় তিনি জানান, এর পরদিন ২০ জুলাই রাত ১২ টায় এসআই আব্দুর রহিম তার ঘরে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে হাতকড়া পড়িয়ে গাড়িতে তুলে প্রথমে হ্নীলা নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যান টেকনাফের নাইট্যং পাহাড়ের পাদদেশ এলাকায়। এসময় মোবাইল ফোনে তার মায়ের কাছ থেকে ছেলেকে গুলি করে হত্যার হুমকী দিয়ে এসআই আব্দুর রহিম ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে এসআই রহিমের কথা মতো টেকনাফ পৌরসভার এক নারী কাউন্সিলরকে ৮ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি মুক্তি পান। পরে দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় হ্নীলার একটি ঘটনায় ইয়াবা মামলা দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। সেই মামলা থেকে অব্যহতি পেতে তিনি আবেদন করেন।

এদিকে হয়রানীর শিকার বলে দাবি করা শাহজাহানের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে উল্টো চিত্র। এতে জানা যায়, টেকনাফ সহ দেশের বিভিন্ন থানায় ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। অথচ গত ১৯ জুলাই টেকনাফ থানা পুলিশের ওপেন হাউজ ডে’তে পুলিশ সুপারের কাছে তিনি হয়রানীর শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় আসামী হওয়ার দাবি করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগ তুলে পুলিশ তার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছিল।

অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফের পুরান পল্লানপাড়ার মো. ইকবালের পুত্র শাহজাহান গত ২০ জুলাই এর আগে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মামলার পলাতক আসামী ছিলেন। এর মধ্যে টেকনাফ থানার মামলাটির নম্বর-১০৫ ( তারিখ-২৩/০৪/২০১৭ ইং), কক্সবাজার সদর থানার মামলার নম্বর-৪১/৩৮৫ ( তারিখ-১০/০৪/২০১৭ ইং )। এছাড়া চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, পটিয়া থানাসহ দেশের কয়েকটি থানায়ও তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো মামলা রয়েছে। এব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) রণজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, শাহজাহানের বিরুদ্ধে করা মামলাটির বাদি ডিবি পুলিশ। তিনি ইয়াবা সংশ্লিষ্ট মামলার পলাতক আসামী।

পুলিশকে নানাভাবে হয়রানীর ব্যাপারে টেকনাফ থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংঘবদ্ধ ইয়াবা ব্যবসায়ী চক্র পুলিশসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মূলত: ইয়াবা বিরোধী অভিযান বন্ধে সংঘবদ্ধ চক্রটি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নামে-বেনামে অভিযোগ দিয়ে প্রশাসনসহ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে এ ধরণের অপকৌশলে নেমেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিভিন্ন সময় হামলা ও হয়রানির ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সংঘবদ্ধ ইয়াবা চক্রের সদস্যরা গত কয়েকদিন আগেও টেকনাফের সাবরাংয়ে ডিবি পুলিশের অভিযানকারি একটি দলের উপর হামলা চালিয়েছিল। পরে ওই ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এমন কি তারা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে অভিযান গ্রেপ্তার আসামীদের ছিনিয়ে নেয়ার মতো ঘটনাও সংঘটিত করছে। তারা চাইছে, অভিযানকারি পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে অপপ্রচার ছড়িয়ে প্রশাসনসহ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে অভিযান বন্ধ করতে।

ইয়াবা সংশ্লিষ্ট মামলায় আসামী হওয়া সত্বেও কিভাবে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ওপেন হাউজ ডে’তে শাহজাহান নামের ব্যক্তি অংশগ্রহণ করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( এএসপি ) আফরুজুল হক টুটুল বলেন, আসামীদের চেহারা ও তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে অনেক সময় জানা সম্ভব হয় না। তারপরও ওপেন হাউজ ডে চলাকালীন সময়ে আসামী শাহজাহান সম্পর্কে জানা সম্ভব হলেও জামিনে থাকায় তাকে আইনের আওতায় আনা হয়নি।


প্রধানন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে ইয়াবা বিরোধী অভিযানে পুলিশ কঠোর অবস্থান নেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংঘবদ্ধ ইয়াবা ব্যবসায়ী চক্র পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রদান করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও এসব অভিযোগকারির ব্যাপারে পরবর্তীতে খোঁজ-খবর নিয়ে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। মূলত: ইয়াবা বিরোধী অভিযান বন্ধ এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে সংঘবদ্ধ চক্রটি এ ধরণে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে জানিয়ে এএসপি টুটুল বলেন, চক্রটির সদস্যরা বিপুল পরিমান অবৈধ টাকার মালিক হওয়ায় বিভিন্ন মহলকে বশীভূত করে ইয়াবা বিরোধী কঠোর অবস্থানে থাকা পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও পুলিশ কঠোর অবস্থানে অনড় থেকে ইয়াবা বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপাশি জনসাধারণকে ইয়াবা বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন