শেরপুরে আনসার ভিডিপির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

  26-09-2017 03:18PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজায় ৭৬টি মণ্ডপে আনসার সদস্য নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে উপজেলা আনসার ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম এসব সদস্যদের নিয়োগ দেন।

এতে করে সাধারণ আনসার সদস্যদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এদিকে তদন্ত সাপেক্ষে ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে গত সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শহরের স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডস্থ শেরপুর প্রেসক্লাবে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়ন আনসারের প্লাটুন কমান্ডার শফিকুর রহমান এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এবার এই উপজেলায় ৭৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। স্ব-স্ব মণ্ডপে আইন শৃঙখলা রক্ষার্থে প্রত্যেকটি মণ্ডপে ৪থেকে ১০জন করে আনসার সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক এই উপজেলায় মোট ৪১৮জন আনসার সদস্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পৌরসভাসহ ১০ ইউনিয়নের লিডাররা আনসারদের তালিকা করেন।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা হোসনে আরার নির্দেশনা অনুযায়ী লিডাররা তাদের প্রস্তুত করা তালিকার সঙ্গে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে উত্তোলন করে কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। যারা টাকা দিয়েছেন তারা নিয়োগ পেয়েছেন। আর যারা টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন তাদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। সে হিসাবে নিয়োগ পাওয়া ৪১৮জন আনসারের কাছ থেকে মোট ২লাখ ৯হাজার ঘুষ আদায় করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট অফিসের একটি সূত্র জানান, বিগতদিনে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভোটকেন্দ্রে আনসার সদস্য নিয়োগে ৫০০ থেকে ১হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী প্লাটুন কমান্ডার শফিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আনসার ভিডিপির এই কর্মকর্তা যোগ্যতা আনসার সদস্যদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে আনসার সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের অতীতে কোন যোগ্যতা নেই।

এমনকি অনেকের আনসার প্রশিক্ষণের বৈধ সনদপত্র নেই। জাল সনদ তৈরী করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাই সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তার বিচারও দাবি করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা আনসার ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। কোন প্রকার ঘুষ নেয়া হয়নি।

এছাড়া আনসারদের সনদপত্র বৈধ কিনা তা দেখার দায়িত্ব তার একার নয় বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন