মিসকল থেকে প্রেম, অতঃপর কারাগারে বাংলাদেশি প্রেমিক

  13-12-2017 12:57AM

পিএনএস ডেস্ক: একটা মিসকল! সেখান থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই প্রেমের টানে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে এক বাংলাদেশি যুবক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে ঠাঁই হল ওই প্রেমিকের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়িতে।

বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বুড়িবাড়ি এলাকার বসিন্দা অন্তর সিংহ (১৯)। দুই বছর আগে হিলি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে অন্তর। পশ্চিমবঙ্গে এসে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজমিস্ত্রির কাজ করত সে। এরপর হঠাৎই মোবাইল ফোনে একটি মিস কলের মাধ্যমে জলপাইগুড়ির তরুণী সুমিত্রা রায় (২২)’এর সাথে পরিচয় হয় অন্তরের। গড়ে ওঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। প্রায় দেড় বছর ধরে চলে সেই সম্পর্ক।

এরপর গত তিন দিন আগে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে ওই তরুণীর বাসায় আসে অন্তর।

সেখানেই থাকতে শুরু করে সে। প্রেমিকাকে বিয়ে করার স্বপ্নও দেখায়। এরপর গতকালই কানে কানে সারা গ্রামে রটে যায় ভিন দেশি ওই প্রেমিক যুবকের কথা। এরপরই স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই যুবকের খোঁজ খবর শুরু হয়। বাংলাদেশি ওই যুবককে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় পঞ্চায়েতের। খবর দেওয়া হয় কোতয়ালি থানায়। পরে মঙ্গলবার পুলিশ এসে অন্তরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিন্তু তার কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় আটক করা হয় অন্তরকে। এদিনই আদালতে তোলা হয় ওই বাংলাদেশি যুবককে।

কোতয়াল থানার এক কর্মকর্তা জানান ‘দুই বছর আগে বাংলাদেশি যুবকটি অবৈধভাবে ভারতে আসে। তার কাছে কোন পাসপোর্ট ছিল না। মিস কলের মাধ্যমে স্থানীয় এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ওই যুবকের খবর পেয়ে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি এবং সে স্বীকার করে অবৈধভাবেই এদেশে প্রবেশ করেছে। আর আমরা তাকে আটক করি’।

পুলিশের হাতে আটক অন্তর সিং প্রেমের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুই বছর আগে হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি। সুমিত্রার সঙ্গে দেখা করতেই তার বাড়িতে যান, দেখাও হয়।

তবে একটি সূত্রের খবর প্রেমিক ও প্রেমিকা-দুই জনের বাড়ি থেকেই এই বিয়েতে সম্মতি ছিল। কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েতের আপত্তিতেই ওই যুবককে শেষ পর্যন্ত শ্রীঘরে যেতে হয়েছে।

এব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সাতানু দাস জানান, ‘মিস কলের মাধ্যমে দেড় বছর আগে দুই জনের সম্পর্ক হয়। দুই দিন আগেই স্থানীয় তরুণী ওই বাংলাদেশি যুবককে তার বাসায় ডেকে আনে এবং সেখানেই সে থাকতে শুরু করে। সন্ধ্যাবেলায় আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে বাংলাদেশি যুবকদের সঙ্গে কথা বলি, কিন্তু তার কাছ থেকে কোন সদুত্তর না পাওয়ায় আমরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেই।

তিনি আরও জানান ‘স্থানীয় তরুণীটি ওই বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে উঠেছিল কিন্তু যুবক কোন স্থায়ী ঠিকানা, পরিচয় জানাতে না পারায় আমরা পুলিশকে জানাতে বাধ্য হয়েছি’।

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন