‘মিস্টার বাংলাদেশ’ নায়ককে হত্যা পরিকল্পনায় দুজন গ্রেপ্তার

  11-12-2018 06:31PM

পিএনএস ডেস্ক : জঙ্গিবাদবিরোধী চলচ্চিত্র ‘মিস্টার বাংলাদেশ’–এর নায়ক ও পরিচালক খিজির হায়াত খানকে হত্যা পরিকল্পনার দায়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম। সোমবার রাতে বনানী থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই তরুণ আনসার আল ইসলামের সদস্য বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের উপকমিশনার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, গ্রেপ্তার দুই তরুণই সৌদিপ্রবাসী। তাঁরা সৌদি আরব থেকে আনসার আল ইসলামের অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। খিজির হায়াত খানকে হত্যার মিশনে আরও তিন–চারজন থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁদেরও খোঁজা হচ্ছে।

গ্রেপ্তার ওই দুই তরুণের নাম এমদাদ ও আবু বকর। তাঁদের দুজনের বাড়িই ফরিদপুর। আনসার আল ইসলামে এমদাদের নাম আবু সালমান ওরফে হুযায়ফা আর আবু বকরের নাম ফাহিম আবদুল্লাহ। এমদাদের বাড়ি ফরিদপুর শহরে। তাঁর পরিবারের সব পুরুষ সদস্যই সৌদি আরবে থাকেন। ফাহিমদের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ ছবিতে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে একদল লোক কীভাবে তরুণদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে, তা দেখানোয় ক্ষিপ্ত হয়ে একটি দল খিজির হায়াত খানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। মাস দুয়েক আগে এমদাদ ও আবু বকর সৌদি আরব থেকে আসেন। তাঁরা খিজিরের কুমিল্লার বাসায় যান। খিজিরের বাবাকে বলেন, তাঁরা তাঁর (খিজির) ভক্ত। সরল বিশ্বাসে খিজিরের বাবা তাঁদের পুরো বাড়ি ঘুরে দেখান। ঢাকায় ফিরে তাঁরা বেশ কয়েকবার বনানীতে খিজিরের অফিসের চারপাশে রেকি করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মুঠোফোনে খিজিরের কুমিল্লার বসার ঘর, খাবারঘরসহ অন্যান্য ঘরের ছবি উদ্ধার করা হয়েছে।

খিজির হায়াত খান আজ মঙ্গলবার বলেন, মাস দুয়েক আগে তাঁকে পুলিশ সাবধানে থাকার পরামর্শ দেয়। তাদের কাছ থেকেই তিনি প্রথম জানতে পারেন যে তাঁকে হত্যার জন্য একটি দল প্রস্তুতি নিয়েছে। এর মধ্যে গত ১৩ নভেম্বর মুসলিম সাংবাদিক নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তিনি বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে জানিয়েছিলেন।

পুলিশ আরও জানায়, হত্যাচেষ্টায় জড়িত লোকজনকে শনাক্ত করে তাদের প্রায় মাস দুয়েক সময় লেগেছে। অন্য একটি গোয়েন্দা সংস্থা প্রথমে বিষয়টি জানতে পারে। সংস্থাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানায়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন